কেউ কথা রাখেনি! মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের পায়ে শিকল পরিয়েছেন বাবা-মা....
২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চিত্তরঞ্জন দাস: কাজের সুবাদে থাকতে হয় বাড়ির বাইরে। ছেলে চলে যায় এদিক-সেদিক! মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পায়ে শিকল পরিয়ে রেখেছেন বাবা-মা। ঘটনাস্থল, পূ্র্ব বর্ধমানের কাঁকসা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁকসার বিদবিহার অঞ্চলের দন্ডেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা দয়াময় বাউরি। তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন তিনি। বড় ছেলে অভিজিৎ মানসিক ভারসাম্যহীন। ধারাবাহিক চিকিৎসার প্রয়োজন তাঁর। কিন্তু আর্থিক সমস্যা কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। এখন অবস্থা এমনই যে, যখন-তখন বাড়ি থেকে চলে যায় অভিজিৎ!দয়াময়ের দাবি, 'ছেলে ছোট থেকে ভালোই ছিল। স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করত। অল্প বয়স থেকে রোজগার করাও শুরু করেছি। কিন্তু ১৫ বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে'! কেন? তিনি জানান, চিকিৎসা করানো হয়েছিল। তখনকার মতো সুস্থ হয়ে গিয়েছিল অভিজিৎ। কিন্তু আর্থিক কারণে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেননি।অভিজিতের বাবার অভিযোগ, 'পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারে এসে ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ভোট মিটে গিয়েছে। তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায় না। একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানিয়েও লাভ হয়নি'। পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছেন কেন? দয়াময় কথায়, '২ বছর আগে ঝাড়গ্রামে চলে গিয়েছিল। কোনোরকমে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ছেলেকে আর হারাতে চায় না'।