নাবালিকাকে জোর করে যৌন পেশায়! অভিযুক্ত হাওড়ার বিজেপি নেতা...
২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেবব্রত ঘোষ: সন্দেশখালিতে নারী নিগ্রহ নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড় তখন বিজেপির হাওড়া সদরের কিষান মোর্চার সম্পাদক এবং শ্রমিক নেতা হোটেলে নাবালিকাকে নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেফতার। ধৃত বিজেপি কিষান মোর্চার নেতার নাম সব্যসাচী ঘোষ(৫০)। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিস। ধৃতদের মধ্যে আছে ওই হোটেলের মালিক এবং আন্দুলের বাসিন্দা সব্যসাচী ঘোষ। তিনি হাওড়া সদর বিজেপি কিষান মোর্চার সম্পাদক এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এবং তার দলবল দীর্ঘদিন ওই হোটেলে নাবালিকা মেয়েদের নিয়ে দেহ ব্যবসা চালাতেন।এদিন গ্রেফতারের সময়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজন নাবালিকা ও চারজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইমোরাল ট্রাফিক অ্যাক্ট এবং পকসো আইনে মামলা শুরু করেছে পুলিস। মহিলাদের উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে লিলুয়া হোমে এবং দুজন নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতের পকসো এজলাসে তোলা হয়।এই গ্রেফতার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, কিছুদিন আগে গাঁজা পাচারের অভিযোগে সাঁকরাইল থেকে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিজেপি নেতারা নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিস প্রশাসন।তিনি এ ব্যাপারে পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান। এদিকে বিজেপির হাওড়া সদরের সম্পাদক ওমপ্রকাশ সিংহ জানিয়েছেন, সন্দেশখালির ঘটনা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে। সব্যসাচী সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখুক পুলিস। তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হয় তবে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং দলও এ ব্যাপারে আলাদা করে তদন্ত করবে। তবে বিরোধী দলের কর্মীদের পুলিস হামেশাই মিথ্যে মামলায় জড়াচ্ছে। এটা ঠিক নয়।