জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপ মারার অভিযোগ তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার কল্যাণী থানার অন্তর্গত কল্যাণী পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আক্রান্ত মহিলা শিবানী বর্মন। তাঁর ঠোঁট দু-ফালা হয়ে গিয়েছে। মারের চোটে গুরুতর জখম তাঁর দু-হাতও। গুরুতর জখম অবস্থায় শিবানী বর্মনকে কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাজেশ দাস। অভিযুক্তের বাড়ি কল্যাণী মাঝেরচর এলাকায়। শিবানীর অভিযোগ, রাজেশ তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না তিনি। এদিন সকালে শিবানীকে ডাকে রাজেশ। শিবানী রাজেশের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিবানীকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে রাজেশ। গুরুতর আহত হন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় শিবানীকে কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।ওদিকে মালদার ইংরেজবাজার থানার কোতোয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আড়াপুর জোত এলাকায় আমবাগান থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় অচৈতন্য এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিস। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অচৈতন্য ওই মহিলার এখনও কোনও পরিচয় পাওয়া যায় নি। ইংরেজবাজার থানার পুলিস মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে ওই মহিলাকে। নাম পরিচয় জানা না গেলেও, ওই মহিলার আনুমানিক বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর। জানা গিয়েছে, এদিন একটি টোটো ইংরেজবাজার থানার কোতোয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের আরাপুর জোত এলাকায় এক নির্জন আমবাগানে ওই মহিলাকে ফেলে পালাচ্ছিল। সেই সময় বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। তখনই টোটো চালককে আটকানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। কিন্তু টোটো চালক অচৈতন্য মহিলাকে ফেলে রেখে এলাকা থেকে চম্পট দেয়। খবর দেওয়া ইংরেজবাজার থানার পুলিস কর্তাদের। পুলিস ওই মহিলাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। ওই মহিলা প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। ওই মহিলা নেশাগ্রস্তও ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ধন্দে পুলিস।