• নাইট ক্লাবে ঢুকতে নিষেধ, বাইরেই ঠান্ডায় জমে মৃত ভারতীয় পড়ুয়া!
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের আমেরিকায় খারাপ খবর। আবার সেই দেশে মৃত্যু হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রের। জানা গিয়েছে আমেরিকার এক ক্লাবে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি ওই ভারতীয় ছাত্র অকুল ধাওয়ানকে। এরপরেই ঠান্ডায় জমে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।ইলিনয়ের চ্যাম্পেইন কাউন্টির করনের-এর অফিস এই সপ্তাহে জানিয়েছে যে ধাওয়ানকে গত মাসে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, তীব্র অ্যালকোহলের নেশায় থাকা অবস্থায় হিমায়িত তাপমাত্রার দীর্ঘ এক্সপোজারের কারনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।  

    রিপোর্টে বলা হয়েছে যে গত ২০ জানুয়ারি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কাছেই একটি ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেতে যান ধাওয়ান। যদিও সেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢুকতে দেয়নি।সেই সন্ধ্যায় ধাওয়ান বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি বদলে যায়।ধাওয়ানের বন্ধুরা ক্যাম্পাসের কাছাকাছি ক্যানোপি ক্লাবে যান, যেখানে তারা ইতিমধ্যেই সেই রাতে ছিলেন। কিন্তু পুলিস জানিয়েছে ক্লাবের কর্মীরা ধাওয়ানকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি।নজরদারি ফুটেজ ইঙ্গিত করছে যে তিনি ‘বেশ কয়েকবার ক্লাবের ভিতরে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কর্মীরা বারবার তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে’। দ্য কানসাস সিটি স্টার অনুসারে, ধাওয়ান তার জন্য ডাকা দুটি রাইড শেয়ারও প্রত্যাখ্যান করেছেন।এরপরেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান বলে জানানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যখন তাঁর ফোনে কেউ উত্তর দেয়নি, তখন ক্যাম্পাস পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর সঙ্গিরা।পরের দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী কর্তৃপক্ষকে জানান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিল্ডিং-এর পিছনের দিকে একটি মৃতদেহ পরে রয়েছে। পুলিস জানিয়েছে যখন তাঁকে পাওয়া যায় তার আগেই ওনার মৃত্যু হয়েছিল।পুলিস বলেছে যে এখনও পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য সকলের প্রাথমিক বিশ্বাসকে সমর্থন করে যে ধাওয়ানের মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত ছিল এবং সেখানে কোনও ‘ফাউল প্লে’ ঘটেনি।আকুল ধাওয়ান ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় আরবানা-চ্যাম্পেইনের একজন ফ্রেশম্যান ছিলেন। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রোবোটিক্স নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি।গত বছরের সেপ্টেম্বরে আকুল ধাওয়ানের ১৮ বছর বয়স হয়। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান মাতেওতে জুনিপেরো সেরা হাই স্কুল থেকে তার হাই স্কুল ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন।তিনি সান মাতেও কলেজে কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যয়ন করেছেন। শীতের ছুটির পরে কলেজে তার প্রথম সপ্তাহে ফিরে আসার কথা জানা গিয়েছে।দ্য নিউজ-গেজেটে প্রকাশিত একটি খোলা চিঠিতে অকুলের পরিবার লিখেছেন, ‘আমরা প্রশ্ন করছি কেন আকুলকে ১০ ঘন্টা পরে পাওয়া গেল। কেন তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই তাঁকে পাওয়া গেল না যখন তাকে বাঁচানো যেতে পারতো। যেখানে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে এবং যেখানে তাকে পাওয়া গিয়েছে তার দূরত্ব ২০০ ফুটেরও কম। ২০০ ফুট!’      
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)