‘নমনীয়’ কংগ্রেস, তেজস্বী-অখিলেশের পর কেজরি-শরদ-উদ্ধবের সঙ্গেও জোট পোক্ত! এবার মমতা'
২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি এই সপ্তাহে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে আইএনডিআইএ ব্লকের প্রথম নির্বাচনী জয় এনে দিয়েছে। এরপরেই দিল্লি, গুজরাট, গোয়া এবং হরিয়ানার লোকসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ শুক্রবার বিকেলে এই খবর জানা গিয়েছে।আইএনডিআইএ ব্লকের সদস্যরা দিল্লির সাতটি আসনকে চার-তিন ভাগে ভাগ করতে সম্মত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে AAP নতুন দিল্লি ছাড়াও পূর্ব, পশ্চিম এবং দক্ষিণ দিল্লি থেকে প্রার্থী দেবে। পাশাপাশি কংগ্রেস উত্তর পশ্চিম এবং উত্তর পূর্ব দিল্লি এবং চন্ডি চক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।জানা গিয়েছে যে গোয়া, চণ্ডীগড়, গুজরাট এবং হরিয়ানার জন্যও চুক্তি সম্পূর্ণ হয়েছে। গুজরাটে দুটি আসন এবং হরিয়ানা ও চণ্ডীগড়ের একটি করে, এই চুক্তির অংশ বলে জানা গিয়েছে।এই রাজ্যগুলির প্রতিটিতে সর্বশেষ হিসেব বলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটে আপ দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। চণ্ডীগড়ের একমাত্র লোকসভা আসনটি কংগ্রেসের কাছে থাকবে সঙ্গে থাকবে দক্ষিণ গোয়ার আসনটিও। এছাড়াও AAP হরিয়ানায় অন্তত একটি আসন পাবে।এই চুক্তিগুলি আপাতত পঞ্জাবের সমীকরণে কোনও পরিবর্তন ঘতাবে না। এই রাজ্যে AAP ১৩টি আসনের সবকটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই কথা গত সপ্তাহে পার্টির বস এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিশ্চিত করেছিলেন।উত্তর প্রদেশের আসন রফার অধীনে কংগ্রেস সেই রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি বাকি ৬৩ আসনে লড়বে। এটাই ছিল প্রথম প্রধান আসন ভাগাভাগি চুক্তি।জানা গিয়েছে রাহুল গান্ধী মহারাষ্ট্রে শিবসেনা (ইউবিটি)-র নেতা উদ্ধবের সঙ্গে কথা বলে আসন রফা ফাইনাল করেছেন এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে কথা বলেছেন।মনে করা হচ্ছে যে এই রাজ্যগুলিতে আসন সমঝোতার পরে এবার কংগ্রেস নজর দেবে বাংলায়। এখানে আসন সমঝোতা করার বিষয়ে শুরু থেকেই বেগ পেয়েছে কংগ্রেস। বেশ কয়েকবার একলা চলার কথা ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস পাঁচটি আসন চাইলেও জানা গিয়েছে যে তাঁদেরকে তিনটি আসন ছাড়তে পারে বাংলার শাসক দল। এবার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে বাংলায় আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে কংগ্রেসের তরফে হস্তক্ষেপ করতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। মনে করা হয় যে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই এই আলোচনায় তাঁর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।