• কৃষক আন্দোলনে শহীদ শুভকরন! পরিবারকে ১ কোটি টাকা-সরকারি চাকরি দেবে পঞ্জাব সরকার
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্জাব এবং হরিয়ানার খানাউরি সীমানায় চলা কৃষক আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে শুভকরন সিং নামে এক  কৃষকের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ঘোষণা করেছেন যে শুভকরনের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং তাঁর ছোট বোনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।তিনি আরও জানিয়েছেন যে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ট্যুইটে মান পোস্ট করে লিখেছেন, ‘খানাউরি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের সময় শহীদ হওয়া শুভকরন সিংয়ের পরিবারকে পঞ্জাব সরকার এক কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা এবং তার ছোট বোনকে একটি সরকারি চাকরি দেবে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।২১ বছরের শুভকরন সিং ভাটিন্ডার বাসিন্দা ছিলেন। খানাউরি সীমানায় কৃষকদের সঙ্গে পুলিসের সংঘর্ষে তাঁর মৃত্যু হয় এবং ১২ জন পুলিস আহত হন।বুধবার ২১ বছর বয়সী একজন কৃষকের মৃত্যু হয় যখন বিক্ষোভকারীরা তাদের 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা পুনরায় চালু করে। তারা ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) জন্য কেন্দ্রের পাঁচ বছরের পরিকল্পনার প্রস্তাবে সম্মতি জানায়নি।ভাটিন্ডার বালক গ্রামের বাসিন্দা ২১ বছরের কৃষক শুভকরনের মৃত্যু হয় এই ঘটনা চলাকালীন। সেই সময়ে আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।তাঁর পরিবারে রয়েছেন দুই বোন, ঠাকুমা এবং বাবা চরণজিত সিং। চরণজিত স্কুলের পিক আপ ভ্যানের চালক হিসেবে কাজ করেন। শুভকরন পাশুপালনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর তিন একর জমি এবং কিছু মুরগি ছিল।  ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে খানাউরি সীমানায় যোগদেন শুভকরন। সেই দিনেই নিজেদের ১০ দাবি নিয় সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করে কৃষকরা।তাঁর মৃত্যুর একদিন আগেই খানাউরি সীমানায় নিজের এবং অন্যান্য প্রতিবাদী কৃষকদের জন্য ব্রেকফাস্ট বানিয়েছিলেন তিনি। জনা গিয়েছে সেই সময়ে তিনি সকলকে আবেদন করেন যাতে সবাই একসঙ্গে বসে ব্রেকফাস্ট খান। তিনি আরও বলেন, ‘তারা খাবার ভাগ করে নেওয়ার বা একসঙ্গে বসার আরও একটি সুযোগ নাও পেতে পারেন’।অচলাবস্থা কাটানোর জন্য দুই পক্ষের মধ্যে চতুর্থ দফা আলোচনায় সরকারের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কৃষক নেতারা। কৃষক নেতা এবং তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৮, ১২, ১৬ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু এই বৈঠক নিষ্ফল ছিল। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)