'বই দেখে না লেখায়' উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশই পড়ুয়াই ফেল!
২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চার বছরের স্নাতকস্তরের প্রথম সেমেস্টার। আর সেই প্রথম সেমেস্টারে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশই পড়ুয়াই ফেল! এহেন ফলাফল দেখে হতবাক সবাই। স্নাতকস্তরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বহু কলেজেই এমন শোচনীয় ফলাফল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনে রয়েছে মোট ৪৯টি কলেজ। সেই ৪৯টি কলেজের অধিকাংশ কলেজেই প্রথম সেমেস্টারে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। বিএ-এ ছাত্রদের মধ্যে ফেলের হার ৯৪ শতাংশেরও বেশি। ওদিকে বিএসসি-বিকমের ক্ষেত্রে পাশের হার ৩২ শতাংশেরও কম। সব মিলিয়ে ৯০ শতাংশের বেশি ছাত্রছাত্রী-ই প্রথম সেমেস্টারে পাশ করতে পারেনি। কিন্তু কেন এমন ফলাফলের হার? বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশিত হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্দরে।কিন্তু কেন এমন অবস্থা? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কোভিড পরিস্থিতিতে ছিল অনলাইন পরীক্ষা অথবা শুধু-ই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। ফলে 'বই দেখে' পরীক্ষা দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। আর তা থেকেই পড়ুয়ারা হয়তো ভেবেছিল যে পড়াশাোনা না করেও পরীক্ষায় পাস করা যাবে। শেষ মুহূর্তে পড়লেই হয়ে যাবে। কিন্তু এবার অফলাইন পরীক্ষা। ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আর সেখানেই ধরা পড়েছে ফাঁকির চূড়ান্ত ছবিটা। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অনকে পরীক্ষার্থী অধিকাংশ উত্তর লেখেইনি। একেবারে সাদা খাতা জমা দিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত এবার নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে পরীক্ষায় বসেছিল পডুয়ারা। প্রথম সেমেস্টারে বিএ মেজর-এ পরীক্ষায় বসেছিল ১৩ হাজার ৬৪২ জন ছাত্র। তার মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৮১২ জন। অর্থাৎ ছাত্র পাসের হার মাত্র ৫.৫৯ শতাংশ। আর মোট ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিল ২২ হাজার ৯৩২ জন। পাস করেছে ২৩১৯ জন। অর্থাৎ ছাত্রী পাসের হার মাত্র ১০.১১ শতাংশ। আর বিএসসি মেজর-এ মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২,০৩২ জন। তার মধ্য়ে পাস করেছেন মাত্র ৫৭০ জন। যদিও ফেল করা পড়ুয়ারা পরবর্তী সেমেস্টারে পরীক্ষা দিতে পারবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।