বিক্রম দাস: ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। বিক্ষোভের আঁচ এবার বেড়মজুড় এলাকায়। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচড়। পুলিসি ধরপাকড়ের অভিযোগে পথে গ্রামবাসীরা। 'আইন যদি কেউ নিজে হাতে নিলে, আমরা কড়া পদক্ষেপ করব', হুঁশিয়ারি ডিজি রাজীব কুমারের।
ঘটনাটি ঠিক কী? এদিন বেড়মজুর এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতির বাড়িতে ভাঙচুর চালান গ্রামবাসীরা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একটি মাছের ভেড়ির একটি ঘরেও। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। এরপর বেলা গড়াতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিস। অভিযোগ, বহু নিরীহ গ্রামবাসীদের আটক করা হয়। এমনকী, রেহাই পায়নি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গ্রামবাসীরাও। প্রথমে রাস্তা গাছে গুঁড়ি ফেলে পুলিসকে আটকানো চেষ্টা হয়। এরপর পুলিসের ভ্যানের সামনে শুয়ে পড়েন মহিলারা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য় পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। সঙ্গে এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার। রাজীব কুমার বলেন, 'আমাদের আইনে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইনে শাসন মানে এটা নয় যে, আমার প্রতি অন্যায় হয়েছে, তা হলে অন্য লোকের প্রতি অন্যায় করতে পারি। আইন যদি কেউ নিজে হাতে নিলে, আমরা কড়া পদক্ষেপ করব'।এদিকে সন্দেশখালির যাওয়ার পথে পুলিসি বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন ভোজের হাট এলাকা লকেট-সহ বিজেপি মহিলা প্রতিনিধিদলকে আটকায় পুলিস। হুগলির সাংসদকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। প্রতিবাদে চুঁচুড়ায় জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।