ভবানন্দ সিংহ: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। এস্টেট কমিটিতে থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের বিল-সহ একাধিক ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ শাসক দলের বিশ্ববিদ্যালয়েরই অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে। এস্টেট অফিসারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিস্ফোরক অধ্যাপক। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
নিয়ম অনুযায়ী, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার থাকলেও কোনও এস্টেট কমিটি থাকার কথা নয়। কিন্তু পূর্বতন উপাচার্য সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায় এই কমিটি গঠন করেন বলে জানা গিয়েছে। আর এরপর নিরাপত্তারক্ষীদের বিল থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি শুরু হয় বলে অভিযোগ। বস্তুত, মাত্র ৬ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও ১২ জনের বিল জমা দিয়ে সেই বিল করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিলে বন্ধুকধারী নিরাপত্তারক্ষীর উল্লেখ থাকলেও আদতে এর কোনও অস্তিত্ব নেই বলেই দাবি। সব মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নয় ছয় হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এর মূল পান্ডা হিসেবে এস্টেট কমিটিতে থাকা অশিক্ষক কর্মী তথা সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি তপন নাগের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলে সড়ব হন খোদ এস্টেট অফিসার অমিত মন্ডল। আর লাগাতার এই তৃণমূল নেতা এই কমিটিতে থেকে কখনও জাল সই করে তো কখনও আবার ভয় দেখিয়ে দুর্নীতি করে চলেছেন বলে তিনি এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিজের সম্মান বাঁচাতে এস্টেট অফিসারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্ন আধিকারিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। যদিও এস্টেট অফিসার চেয়ারে বসে দুর্নীতি করেছেন আর এখন ধরা পড়ার ভয়ে ইস্তফা দিয়েছেন বলে পালটা অভিযোগ অভিযুক্ত তপন নাগের। এদিকে এই আর্থিক দুর্নীতির পেছনে কোনও আধিকারিকও যুক্ত থাকতে পারেন এবং সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য দীপক কুমার রায়।