অরূপ বসাক: মালবাজার ব্লকের বন্ধ সাইলি চা বাগান পুনরায় চালু করার দাবিতে মালবাজার মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি জমা দিল চা বাগানের শ্রমিকরা। এদিন মালবাজার মহকুমা শাসকের অফিসে এসে মালের মহকুমা শাসক শুভম কুন্দালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শ্রমিকরা। বন্ধ সাইলি চা বাগানের বর্তমান অচলাবস্থার বিষয়ে লিখিতভাবে মহকুমা শাসকের কাছে তুলে ধরেন বাগানের শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। উল্লেখ্য গত ৫ই ফেব্রুয়ারি শ্রমিক মালিক অসন্তোষের কারনে বন্ধ হয় সাইলি চাবাগান। প্রায় ১৫০০ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পরে এই চাবাগানে।
শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি না মিটিয়ে সাস্পেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দিয়ে বাগান ছেড়ে চলে যান। আর এতেই চরম সমস্যায় পড়েন শ্রমিক কর্মচারীরা। শ্রমিকদের পিএফ এবং গ্র্যাচুয়িটির অধিকাংশই এখনও বকেয়া রয়েছে। ইতিমধ্যেই পেটের তাগিদে জীবিকার সন্ধানে বাগান ছেড়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন বাগানের বহু শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা।অবিলম্বে বাগানের অচলাবস্থা কাটিয়ে আবারো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাগানকে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে এদিন মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। মহকুমা শাসকের তরফে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে যথপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। এদিনের ডেপুটেশন প্রসঙ্গে সাইলি চা বাগানের শ্রমিক নেতা এবার্তুস এক্কা, সুভাষ থাপা, জহর শা প্রমুখ একই সুরে বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষ চা শ্রমিকদের মজুরি-সহ গ্র্যাচুয়িটি বকেয়া রেখে বাগান ছেড়ে চলে গেছেন। আর এতেই সমস্যায় পড়েছে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা।অবিলম্বে অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর দাবি নিয়েই মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই চা বাগানের কর্তৃপক্ষ বিগত দিনেও শ্রমিকদের মজুরি ও পুজোর বোনাস বকেয়া রেখেই বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও জন মানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।