• সমপ্রেম মেনে নেয়নি পরিবার! জঙ্গল থেকে উদ্ধার ২ যুবতীর দেহ...
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • চম্পক দত্ত: চন্দ্রকোনায় জঙ্গল থেকে দুই যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।একসাথে দুই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য,সমকামী বিবাহে জড়িয়েছিল দুই যুবতী দাবি পরিবারের।সাত সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গল থেকে দুই যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।মৃতদেহ চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙ্গা মোবাইলের টুকরো,চুড়িদারের একটি ওড়নার মধ্যে দুইজনে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয় মানুষজনেরা। জানা গিয়েছে ওই দুইজনের মধ্যে একজনের নাম সুমি মুর্মু(২৫),অপর মহিলার নাম রচনা মান্ডি(২৩)।

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর,চন্দ্রকোনা থানার রামগড়ের বাসিন্দা সুমি মুর্মু ও অপর একজন রচনা মান্ডির বাড়ি গোঘাট থানার কুমারদিঘিতে।এই দুই যুবতীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় মানুষজনেরা।চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।যদিও চন্দ্রকোনায় বাড়ি এক মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান দুই যুবতীকে কেউ মেরে টাঙিয়ে দিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়।চন্দ্রকোনার রামগড়ের বাসিন্দা মৃত সুমি মুর্মুর দিদি লক্মী হেমব্রমের দাবি,তাদের এক বোনের বিয়ে হয়েছে গোঘাট থানার কুমারদিঘি এলাকায়। মৃত সুমির কুমারদিঘিতে বোনের বাড়ি যাতায়াত ছিল আর সেই সূত্রে আলাপ হয় অপর মৃত যুবতী রচনা মান্ডির সাথে।আর এখান থেকেই সুমি ও রচনার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।রচনা মান্ডিকে একাধিক বার চন্দ্রকোনায় সুমির বাড়িতে আসতে দেখেছে তার পরিবারের সদস্যরা এমনটাই জানান তারা।মৃত সুমির দিদি লক্মী হেমব্রমের দাবি,তার বোন ও রচনা মান্ডি দু'জনে মহিলা হওয়া সত্ত্বেও বিয়ে করে নেয়।আর এই বিষয়টি তাদের উভয় পরিবারই মেনে নেয়নি বলে দাবি তার।তবে তার বোন সুমি আত্মহত্যা করেনি হয়তো তাদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি।অবশ্য গোটা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা অবধি কোনও বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেনা পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। তবে মৃত যুবতীর পরিবারের দাবি অনুযায়ী দুজন দুজনকে বিয়ে করার পরই দুই পরিবারের সমস্যা তৈরি হয়।তবে কি দুই যুবতীর মৃত্যু সমকামী বিবাহের সম্পর্কের কারণ?তদন্তে পুলিস।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)