বীরেন ভট্টাচার্য,দিল্লি: দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে দলের সম্ভাব্য ফল নিয়ে চিন্তায় বিজেপি। তারমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলল দলেরই কেরল নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিজেপির তরফে গান তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হচ্ছে। কেরল বিজেপি নেতৃত্বের তরফে একটি গান প্রকাশ করা হয়। সেই গানেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হঠানোর ডাক দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হঠাতে একত্রিত হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে কেরল বিজেপি নেতৃত্বের তরফে।দলের ইউটিউব চ্যানেলে সেই গান আপলোড করা হয়েছে। মূহুর্তের মধ্যেই সেই গান ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। নেট নাগরিকদের একাংশ কেরলের বিজেপি নেতৃত্বকে সৎ সাহস দেখানোর জন্য প্রশংসা করেছেন। কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রম রাজ্যজুড়ে পদযাত্রা শুরু করেছেন। সেই যাত্রার মধ্যেই গানটি মুক্তি পায়। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এবং দেশজুড়ে সমালোচনা হতেই গানটি তুলে নেওয়া হয়। বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। দলের নেতাদের দাবি, গানটি ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় মুক্তি পেয়েছিল। যদিও কেন এত বছর পর গানটি ফের ইউটিউবে আপলোড করা হল, কীভাবে এতবড় একটি ভুল সবার নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্নও উঠেছে স্বাভাবিকভাবেই। তবে এখানেই শেষ নয়, কেরল বিজেপির তরফে একটি পোষ্টারও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তপশিলি, উপজাতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারার দাবি তোলা হয়েছে। একদিকে গান, অন্যদিকে পোষ্টার দুই মিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।দলের রাজ্যসভার সাংসদ এবং মুখপাত্র প্রকাশ জাভরেকরের দাবি, গানটি ইউপিএ জমানায় প্রকাশ করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, "২০১৩ সালে ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে এই গানটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এই ধরণের ভুল খবরের কাগজগুলিতেও দৈনিক হতে দেখা যায়। ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ক্ষমতা ফিরবে মোদিজিই।" সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এবং সমালোচনা হওয়ার আগে পর্যন্ত বিষয়টি সংশোধন করা হল না, সে সম্পর্কে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। বিজেপির এই প্রবল অস্বস্তিতে চওড়া হাসি ফুটেছে কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের। দলের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে, "বিজেপির কেরল নেতৃত্ব প্রচারের একটি গান প্রকাশ করেছে। সেখানে দুর্নীতির জন্য কুখ্যাত কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করতে একত্রিত হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তনের পক্ষে সত্য কথা তুলে ধরার জন্য বিজেপিকে ধন্যবাদ।"