শুরুতে বাজবল হারা-কিরি! শেষে ব্রিটিশদের রক্ষাকর্তা রুট, করলেন ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি
২৪ ঘন্টা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১১২/৫ থেকে ৯০ ওভারের শেষে ৩০২/৭! পাঁচে নেমে জো রুট (Joe Root) যদি অসাধারণ অপরাজিত সেঞ্চুরির ইনিংস না খেলতে পারতেন, তাহলে ইংল্য়ান্ডের প্রথম ইনিংস হয়তো ২০০ রানের মধ্য়েই গুটিয়ে যেত! তিনশো পার করতে পারতেন না বেন স্টোকসরা। শুক্রবার অর্থাৎ আজ, রাঁচির জেএসসিএ ইন্টারন্য়াশনাল স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ভারত-ইংল্য়ান্ড চতুর্থ টেস্ট। চলতি সিরিজে ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেট ব্র্য়ান্ডকে নিয়ে ভারত রীতিমতো ইয়ার্কি-ঠাট্টা করেছে। এদিন রাঁচিতে শুরুটাও ছিল ঠিক সেরকমই। এদিন ইংল্য়ান্ড টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে ইংল্য়ান্ড ব্যাটারদের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করার জন্যই মাঠে নেমেছিলেন আকাশ দীপ। জসপ্রীত বুমরার অবর্তমানে আকাশ যে অভিষেক করতে চলেছিলেন, সেকথা একপ্রকার আকাশে-বাতাসে ভাসছিলই। কিন্তু যতক্ষণ না হাতে টেস্ট ক্য়াপ পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সবটাই ছিল সম্ভাবনা। ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানো আকাশকে নিয়েই হল রোহিত শর্মাদের প্রথম একাদশ। ভারতীয় দলের হেডস্য়র ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় তুলে দিলেন আকাশের হাতে ডেবিউ টেস্ট ক্য়াপ। ২৭ বছরের বিহারি বোলিং অলরাউন্ডার এমএস ধোনির ঘরের মাঠে রাজকীয় অভিষেক করলেন। এদিন মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে পেস আক্রমণে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল আকাশকে। প্রথম সেশনে একাই ব্রিটিশদের শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে দিলেন আকাশ। ধারাবাহিক ভাবে বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাফল্য় পাওয়া আকাশ আইপিএলে রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের হয়েও ছাপ রেখেছেন। এদিন ১২ ওভারের মধ্য়ে ব্রিটিশদের টপঅর্ডার সাজঘরে পাঠিয়ে দেন আকাশ। দুই ইংরেজ ওপেনার জ্য়াক ক্রলে (৪২) ও বেন ডাকেটের (২১) সঙ্গেই আকাশের শিকার হন তিনে নামা অলি পপ (০)। মিডল অর্ডারের দুই ব্য়াটার জনি বেয়ারস্টো (৩৮) ও বেন স্টোকসকে (৩) ফিরিয়ে দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। তবে একা কুম্ভ আগলেছেন রুট। সাতে নেমে বেন ফোকসও মরা গাংয়ে জোয়ার আনার চেষ্টা করেছিলেন ৪৭ রানের ইনিংস খেলে। তবে ফোকস ও টম হার্টলেকে (১৩) ফিরিয়ে ঝটকা দেন রাজকোট টেস্টের পেস বিভাগের পুরোধা মহম্মদ সিরাজ। রাঁচির স্পিন সহায়ক উইকেটের কথা ভেবেই ভারত দুই পেসার (সিরাজ-আকাশ) ও তিন স্পিনার (রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা) নিয়ে দল সাজিয়েছিল। এমনকী যশস্বী জয়সওয়ালও হাত ঘুরিয়ে ছিলেন। কিন্তু পাঁচ স্পেশালিস্ট বোলার ও এক পার্ট-টাইম বোলার মিলেও রুটের উইকেট নিতে পারেননি। রুট তাঁর জাত চিনিয়ে টেস্ট কেরিয়ারের ৩১ নম্বর সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের জাত চিনিয়ে দেন। বিশ্বের প্রথম ব্য়াটার হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে ১০ নম্বর টেস্ট শতরান করলেন ৯টি চারের সৌজন্য়ে। দিনের শেষে রুট (১০৬) ও অলি রবিনসন (৩১) অপরাজিত রয়েছেন ক্রিজে।