• আধার নিষ্ক্রিয়করণের চিঠি মানেই এনআরসির সূচনা
    আজকাল | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মিল্টন সেন: সম্প্রতি আধার নিষ্ক্রিয়করণের চিঠি পৌঁছেছে হুগলির একাধিক বাড়িতে। চিঠি পেয়েছেন মগড়া, কোদালিয়া ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, বলাগড় সহ জেলার একাধিক এলাকার মানুষ। সরকারি পরিষেবা পাওয়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। আধার নিষ্ক্রিয়করণের চিঠি মানেই এনআরসির সূচনা, এমনটাই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে কারণে দলীয় উদ্যোগে শিবির করে শুরু হয়েছে মানুষকে সচেতন করার কাজ। শুক্রবার দামাল বাংলার হুগলি শাখার তরফে মগড়া কাটাপুকুরে অনুষ্ঠিত হল মানুষকে সচেতন করার শিবির। উপস্থিত ছিলেন চাঁপদানীর বিধায়ক তৃনমূল হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী, হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য মানস মজুমদার, মৌসুমি ঘোষ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। শিবিরে হাজির ছিলেন পূর্ববঙ্গ থেকে আসা, মতুয়া সম্প্রদায়ের একাধিক মানুষজন। "দামাল বাংলা" একটি এনআরসি বিরোধী মঞ্চ। এদিন এনআরসি হলে মানুষের বিশেষত ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষদের কী অসুবিধা হবে সে বিষয়ে সচেতন করেন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা মানিক ফকির। এদিন শিবিরের আহ্বায়ক মানস মজুমদার বলেছেন, বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার চাইছে এনআরসি করে মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, সংবিধানের ৬(এ) ধারায় আম্বেদকর যে অধিকার দিয়েছেন, তা অখণ্ড ভারতবর্ষের ভূমিপুত্ররা খণ্ডিত ভারতের নাগরিক। বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, "আমরা ভারতবর্ষের নাগরিক। তাই সকল নাগরিকদের সচেতন করতে চাই। এনআরসি কি সিএএ কি তা এই শিবিরের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যারা সরকারি সুযোগ সুবিধা পান তারা প্রত্যেকেই নাগরিক।আগামী দিনে যারা বঞ্চিত হতে পারে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।
  • Link to this news (আজকাল)