'আমি মালালা নই, ভারতে আমি স্বাধীন', ব্রিটেন সংসদে গর্জে ওঠা এই কাশ্মীরি সাংবাদিক কে'
২৪ ঘন্টা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: "আমি কোনও মালালা নই। ভারতে আমি স্বাধীন।" ইংল্যান্ডের সংসদে দৃপ্ত কণ্ঠে বলে উঠলেন তরুণী কাশ্মীরি সাংবাদিক। নাম ইয়ানা মীর। তাঁর সেই বক্তব্য এখন ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে তাঁর বলিষ্ঠ ও দৃপ্ত বক্তব্যের ক্লিপিংস। নিজের সেই বক্তব্যে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিরুদ্ধপ্রচার বা 'প্রোপাগান্ডা'র বিপক্ষে গর্জে উঠেছে ইয়ানা মীর। ব্রিটেন সংসদে তাঁকে ডাইভারসিটি অ্যাম্বাসাডর অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়েছে।স্মার্ট, ঝকঝকে তরুণী ইয়ানা মীর জম্মু-কাশ্মীরের একজন সমাজকর্মী ও সাংবাদিক। ব্রিটেনের সাংসদে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরকে নিয়ে 'প্রোপাগান্ডা'র বিরুদ্ধে ইয়ানা মীর বলেন, "আমি কোনও মালালা ইউসুফজাই নই। কারণ আমি আমার মাতৃভূমি কাশ্মীরে, যা কিনা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেখানে নিরাপদ ও স্বাধীন। আমি কখনও আমার মাতৃভূমি থেকে পালিয়ে এসে তোমার দেশে আশ্রয় চাইব না। আমি কখনওই একজন মালালা ইউসুফজাই হব না।" প্রসঙ্গত, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পাকিস্তানের তরুণী মালালা ইংল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।একইসঙ্গে কাশ্মীর 'অত্যাচারিত' বলে উল্লেখ করে ভারতকে 'অবমাননা' করার জন্য নোবেলজয়ী মালালার কঠোর সমালোচনা করেছেন ইয়ানা মীর। কড়া ভাষায় ইয়ানা বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়া ও বিদেশি মিডিয়ার এই ধরনের টুলকিট সদস্যদের আমি কঠোর বিরোধিতা করছি। যাঁরা কখনওই ভারতের কাশ্মীরে আসেনি অথচ অত্যচারের ভুয়ো গল্প বানিয়ে চলেছে। ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয়দের মেরুকরণ বন্ধ করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি। আমরা তোমাদের আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে দেব না।" ইয়ানা মীর এই বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন যে, "আমাদের পিছু পিছু আসা বন্ধ কর ও আমার কাশ্মীরি ভাইবোনদের শান্তিতে থাকতে দাও।" সমাজকর্মী ও সাংবাদিক ইয়ানা মীর শ্রীনগরের বাসিন্দা। কাশ্মীরের অনন্তনাগে তাঁর জন্ম। কাশ্মীরে পড়াশোনা করার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও মুম্বইয়ে উচ্চশিক্ষার পাঠ নেন। তিনি-ই কাশ্মীরের প্রথম মহিলা ইউটিউব ভ্লগার, যিনি রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়কে কভার করে থাকেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে ২ লাখেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার। যুব ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে থাকেন তিনি। তাঁর দাদু ছিলেন একজন পুলিসকর্মী। ইয়ানা মীরের দৃপ্ত বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।