১ বছর ৭ মাসের 'বিস্ময়' শিশুর মুখস্থ A-Z, বলতে পারে সব সংখ্যা! নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে...
২৪ ঘন্টা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অরূপ বসাক: বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস। এক লহমায় চিনে ফেলছে ইংরেজি বর্ণমালার সমস্ত বর্ণ। মুখে ঠিকমত কথাও ফোটেনি। বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস। মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার সুভাষপল্লির একরত্তি হৃদান মিত্র যেন এক বিস্ময় শিশু। সে এক লহমায় চিনতে পারে ইংরেজি বর্ণমালার সমস্ত বর্ণ। গোলাকার, ত্রিভুজাকার কিংবা চৌকো। যে কোনও জ্যামিতিক আকারের ধারনাও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ইংরেজি ও বাংলার ১-১০ পর্যন্ত সংখ্যাও জানে। বিভিন্ন শাকসবজি, ফলমূল, জন্তু জানোয়ার বা মানব শরীরের বিভিন্ন অংশ বলতে পারে। একসঙ্গে হরেক রকমের ছবির মধ্যে থেকে জানতে চাইলে নির্ভুলভাবে দেখিয়ে দেয় সঠিক বস্তুটিকে।এই কৃতিত্বে সম্প্রতি ওই খুদে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র পেয়েছে। হৃদানের বাবা সুব্রত মিত্র পেশায় একজন চিকিত্সক। তিনি ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক। মা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকা। দিদা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তিনি নাতিকে তাঁর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে ওর থেকে বেশি বয়সী শিশুদের সঙ্গে দিব্যি পড়াশোনা করতে বসে যায় ছোট্ট হৃদান। রাস্তাঘাটে সাইনবোর্ড কিংবা গাড়ির নম্বর প্লেট চোখে পড়লেই হল। সেগুলির বর্ণ কিংবা সংখ্যা নিজে থেকেই অস্ফূটভাবে বলতে শুরু করে দেয় একরত্তি।
শিশুর দিদা মৌসুমী ভট্টাচার্য ও দাদু দেবাশিষ ভট্টাচার্য বলেন, অন্য কোনও খেলনাপাতিতে ওর মন নেই। সারাদিন শুধু বর্ণমালা আর সংখ্যা নিয়েই পড়ে থাকে। তা বইয়ে ছাপানো হোক বা হাতে ধরার মডেল আকারেই হোক। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সেসব-ই কিনে দিই। মা দীপাঙ্কণা মিত্র বলছেন, কোলে করে বাইরে বের হলেও হাতে ABCD নিয়েই থাকে। কেড়ে নেওয়ার সাধ্য কারও নেই।