• কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান কর্মসূচি আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • দিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি ? কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান কর্মসূচি আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখল কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা সংলগ্ন এলাকাগুলি। পুলিশ-কৃষকদের সংঘর্ষে রক্ত ঝরেছে। প্রাণ গেছে উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন। এই  পরিস্থিতিতে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি আপাতত কয়েক দিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল কৃষক সংগঠনগুলি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দুই সংগঠন আবার আলোচনায় বসবে। সেই সময় পর্যন্ত পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু-খানৌরি সীমানায় জাতীয় সড়কের ধরে মাঠে কৃষকরা অবস্থান করবেন। 

    শুক্রবার রাতে খানৌরি সীমানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা সরবন সিংহ পান্ধের। সেখানে তিনি আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে বলার সময়ই ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। তবে আমরা সীমানা ছাড়ব না। সেখানে বসেই অপেক্ষা করব।’’


    ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত হলেও কৃষকেরা আন্দোলন বন্ধ করেছেন না। রবিবার কৃষকেরা একটি মোমবাতি মিছিল করবেন। সোমবার কৃষকদের সমস্যা নিয়ে একটি  আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষক সংগঠনের নেতারা আবারও নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকেই ঠিক হবে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি।
    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে চণ্ডিগড়ে কৃষক নেতাদের যে বৈঠক হয়েছিল তাতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কোন পথ মেলেনি।  এই পরিস্থিতিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন কৃষক নেতারা।  তবে কৃষক নেতা  সরবন সিংহ জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে এখনো তাঁদের কাছে বৈঠক সংক্রান্ত  কোনও সরকারি চিঠি আসেনি।  
    নিজেদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা শুরু করেছেন কৃষকেরা। বুধবার  সকালে প্রায় ১৪ হাজার কৃষক খা নৌরি এবং শম্ভু সীমানা পেরোনোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাঁদের। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শুভকরণ সিংহ নামে বছর ২১-এর এক যুবকের। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন কৃষকেরা। মৃত যুবকের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব সরকার। যদিও সেই ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করে নিহত কৃষকের পরিবার। তাদের দাবি, ‘‘আমাদের সন্তানের জন্য ন্যায়বিচার চাইছি। এটা টাকা বা চাকরির সমতুল্য হতে পারে না।’’ তার পরই  ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিতের কথা ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)