জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে তোরজোড়। নিজেদের ঘর গোছান শুরু করেছে সব দল। গুজরাতে প্রকল্প উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে জোটের মধ্যে বাড়তে থাকা সমস্যার মধ্যেই আসন সমঝোতা পাকা করা শুরু করেছে কংগ্রেস।উত্তর প্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব, দিল্লির মতো বিভিন্ন রাজ্যে এই সমঝোতা পাকা করে ফেলেছে তারা। এই সোমঝতার আবহেই ফের শুরু হয়েছে গুঞ্জন। জানা গিয়েছে গুজরাতে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা আহমেদ প্যাটেলের গড় বলে পরিচিত ভারুচ আসনটি আপকে ছেড়ে দিয়েছে তাঁরা।
এই ঘটনা সামনে আশার পরেই কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী দল থেকে শুরু করে প্যাটেল কন্যা মুমতাজ। সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু নেতা কংগ্রেস তেকে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। ভারুচ আসনের এই ঘটনার পরেই সেই আশঙ্কা ফের দেখা দিয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে।কিছুদিন আগেই কংগ্রেস থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া জয়বীর শেরগিল আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে। তিনি এই ঘটনাকে ‘রাজপুত্র’-র প্রতিশোধ বলে অভিহিত করেছেন। বিজেপির অমিত মালব্য কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারের কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেছেন, ভারুচ আসন ছেড়ে দেওয়া আসলে আহমেদ প্যাটেলের উত্তরাধিকারকে মুছে ফেলার এবং তাঁর পরিবারকে অপমান করার জন্য রাহুল গান্ধীর প্রচেষ্টা। তিনি আরও বলেছিলেন যে গান্ধী পরিবার ‘... ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় বিশ্বাসী’। আহমেদ প্যাটেলের কন্যা মুমতাজ প্যাটেলের ট্যুইট তুলে ধরে মালব্য লেখেন, ‘কংগ্রেসে একটি পরিবার অন্যদের তুলনায় বেশি ইকুয়াল। সবাই জানে রাহুল গান্ধী এবং আহমেদ প্যাটেলের মধ্যে মতপার্থক্যের কথা। আপকে ভারুচ আসন ছেড়ে দেওয়া আসলে এই পরিবারের এই পরিবারের ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার এবং অপমান করার জন্য রাহুল গান্ধির প্রচেষ্টা। গান্ধিরা ব্যবাওহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় বিশ্বাসী’।নিজের আবেগপূর্ণ ট্যুইটে পার্টিকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আহমেদ-কন্যা মুমতাজ। ভারুচ যেখান থকে লকাল বডি নির্বাচনে লড়াই করে ১৯৭৬ সালে নিজের রাজনৈতিক পথচলা শুরু করেছিলেন আহমেদ প্যাটেল, সেই আসন ধরে রাখতে না পারার জন্য পার্টিকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুমতাজ। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘জোটে ভারুচ লোকসভা আসন সুরক্ষিত করতে না পারার জন্য আমাদের জেলা ক্যাডারের কাছে গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আপনার হতাশা ভাগ করে নিচ্ছি। একসঙ্গে, আমরা কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে পুনরায় সংগঠিত হব। আমরা আহমেদ প্যাটেলের ৪৫ বছরের উত্তরাধিকারকে বৃথা যেতে দেব না’। মুমতাজ প্যাটেল হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘ভারুচ কি বেটি’।২০২০ সালে কোভিডে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কংগ্রেসের যেকোনও সমস্যা সনাধানের মূল কারিগর ছিলেন আহমেদ প্যাটেল। কংরস ব্যাকরুমের মূল শক্তি ছিলেন তিনি। গুজরাতের এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা এবং বিধানসভা দুই জায়গাতেই প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।