মৃত্যুঞ্জয় দাস: নির্মীয়মান রাস্তার দূষণে জেরবার এলাকাবাসী। দূষণ নিয়ন্ত্রণের দাবীতে পথ আটকে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।গ্রামের মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক। বেশ কিছুদিন ধরে সেই সড়ক নতুন করে তৈরীর কাজ চলছে। আর তাতেই ধুলোয় ঢাকা পড়েছে গোটা এলাকা। ধুলোয় ঢাকা গ্রামে শ্বাস নেওয়াই যেন দায় হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের।
এই পরিস্থিতিতে গ্রামে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট জনিত অসুখ। অবিলম্বে দূষন নিয়ন্ত্রণের দাবীতে এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন সিমলাপাল থানার চকবাইদ গ্রামের মানুষ। রাস্তা অবরোধ করে রেখে চলল বিক্ষোভ।সম্প্রতি বাঁকুড়া থেকে ঝাড়গ্রামের রাজ্য সড়ক নতুন করে নির্মাণের পাশাপাশি আরও প্রশস্ত করার কাজে শুরু করেছে পূর্ত দফতর। গোটা রাস্তা খুঁড়ে তুলে ফেলা হয়েছে পুরানো রাস্তা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে সেই কাজ।নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে লোকালয় এবং সংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত জল দিতে হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। কিন্তু এই রাস্তার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর তার ফলেই রাস্তা সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা ঢাকা পড়ছে ধুলোয়।নির্মীয়মান ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে যানবাহন। আর তাতেই রাস্তার ধুলোয় স্থানীয় এলাকার বাড়ি, ঘরদোর থেকে শুরু করে জামাকাপড় ও গাছের পাতায় বসছে পুরু আস্তরণ।ধুলোয় এলাকা এমনভাবে ঢাকা পড়ছে যে ওই রাস্তা দিয়ে দিনের বেলাতেও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনকে।দিনভর ধুলো ভর্তি বাতাসে শ্বাস নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। অবিলম্বে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবার তাই কোমর বেঁধে রাস্তায় নামলেন সিমলাপাল থানার চকবাইদ গ্রামের মানুষ।বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রেখে তাঁদের দাবী রাস্তা তৈরীর কাজ যতদিন চলবে ততদিন দূষণ নিয়ন্ত্রণে বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থাকে রাস্তায় জল দিতে হবে।বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর সিমলাপাল থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলেও গ্রামবাসীদের হুশিয়ারি সোমবারের মধ্যে দাবী পূরণ না হলে ফের লাগাতার অবরোধ শুরু করবেন তাঁরা।