২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাঁচির জেএসসিএ ইন্টারন্য়াশনাল স্টেডিয়ামে চলছে ভারত-ইংল্য়ান্ড চতুর্থ টেস্ট। রবিবার অর্থাৎ আজ তৃতীয় দিনের দুপুরে শিরোনামে একজনই ক্রিকেটার। তিনি গোটা বিশ্বকে ব্য়াট হাতে বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি আগামীর সেই নায়ক যিনি বাইশ গজে থাকতে এসেছেন। কথা হচ্ছে ধ্রুব জুরেলকে (Dhruv Jurel) নিয়ে। বছর তেইশের আগ্রার উইকেটকিপার-ব্যাটারের। তিনি ব্য়াট হাতে ত্রাতার ভূমিকায় উত্তীর্ণ হতে না-পারলে, রাঁচি টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসের স্কোর নিয়ে লেখার মতো কোনও সুযোগ থাকত না। ব্রিটিশদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৫৩ রানের জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩০৭ রানে। ইংল্য়ান্ড যে মাত্র ৪৬ রানের লিড নিতে পেরেছে। তার সিংহভাগ কৃতিত্ব প্রাপ্য এই ধ্রুবরই। ধ্রুবর ক্রিকেটে মোহিত হয়েছেন সুনীল গাভাসকরও (Sunil Gavaskar)। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ধ্রুবর মধ্য়ে এমএস ধোনিকেই (MS Dhoni) খুঁজে পেলেন।এদিন ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে সানি বলেন, 'দেখুন জুরেল অবশ্য়ই ভালো ব্য়াট করেছে। তবে উইকেটের পিছনে ওর কাজ আমার একই রকম অসাধারণ লেগেছে। জুরেলের খেলা-সচেতনতা দেখে, আমি বলতে চাই যে, আরও একটি এমএস ধোনি তৈরির পথে। যদিও আমি জানি যে দ্বিতীয় এমএসডি কখনই হবে না। কিন্তু জুরেলের ক্রিকেটীয় মাথা এমএসডি-র খেলার শুরুর দিনের মতোই। জুরেল একজন স্ট্রিট-স্মার্ট ক্রিকেটার'রাজকোট ছিল ধ্রুবর জীবনের প্রথম টেস্ট। সরজরাফ খানের সঙ্গেই তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। রাজকোটে ধ্রুব আউট হয়েছিলেন ৪৬ রানের ইনিংসে। ব্য়াট হাতে জ্বলে না উঠলেও, উইকেটকিপিংয়ে মাতিয়ে ছিলেন তিনি। তবে রাঁচিতে ধ্রুবর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল অত্যন্ত কঠিন। জীবনের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি যখন ব্য়াট করতে নেমেছিলেন তখন ভারতের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৬১ রান। কিছুক্ষণের মধ্য়ে তা হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১৭৭। ধ্রুবকে কিন্তু টলাতে পারেননি ব্রিটিশষ বোলাররা। কুলদীপ যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের যুগলবন্দি করেন তিনি। এর সঙ্গেই বেন স্কোটকসদের অভিধানে জুড়ে দেন 'ফ্রাস্টেশন' শব্দটি। ধ্রুব এদিন ১৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন। সাতে নামা ব্য়াটার হাঁকান ৬টি চার ও ৪টি ছয়।