সরকারি উদ্যোগ সত্ত্বেও গ্রীষ্মের শুরুতেই বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা...
২৪ ঘন্টা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শীত কমতেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে সর্বত্র। একদিকে যেমন নদীর জল শুকিয়ে গিয়েছে, তেমনই বাড়ির কুয়োর জলস্তরও একেবারে মাটিতে নীচে পৌঁছেছে। আর এতেই বিভিন্ন চা-বাগান-সহ গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়ছে।
পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাতাবাড়ি এলাকায় পানীয় জল প্রকল্পের কাজের সূচনা হল আনুষ্ঠানিক ভাবে। এই প্রকল্পের কাজের সূচনা করলেন পঞ্চায়েত প্রধান দীপা মিজার, ছিলেন অন্যান্যরা।পানীয় জলের জন্য ওই এলাকার বাসিন্দাদের এতদিন কুয়োর জলই ছিল একমাত্র ভরসা। তা-ও আবার ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে কুয়োর জল। এই জল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যা দূর হবে বলে জানান এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার প্রায় ২০০টি পরিবার পানীয় জলের সুবিধা পাবে বলে প্রশাসনিকসূত্রে জানানো হয়েছে। প্রায় দুমাসের মধ্যে বাড়ি-বাড়ি জল পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এই সময় মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। বহু জায়গায় কুয়োর জল শুকিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অনেকে জল কিনে খান। আবার কেউ-কেউ দূর-দুরান্ত থেকে জল এনে খায়।রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন চা-বাগান এলাকায় পানীয় জলের রিজার্ভয়ার তৈরি হয়েছে। পাইপের সাহায্যে সেই জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় জলের কাজও জোরকদমে চলছে।