• 'শাহজাহান কোথায়, এই শাঁখা-শাড়ি পরুন, আমরাই ওকে ধরব', বেড়মজুরে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ মহিলাদের
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিতে কমছেই না মানুষের ক্ষোভ। রবিবার বেড়মজুরে পুলিসকে ঘিরে ধরে প্রবল বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য উঠল গো ব্যাক স্লোগান। তাঁদের বক্তব্য, পুলিসের উপরে তাঁরা ভরসা রাখতে পারছেন না। এলাকার অনেকের নামে কেস হয়েছে। পাল্টা পুলিস মহিলাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, থানায় গিয়ে আপনারা খবর নিয়েছেন কি? রটনো কথায় বিশ্বাস করবেন না। পাল্টা মহিলারা প্রশ্ন করেন, তাহলে গ্রামের পুরুষদের কেন মাঠে তাড়া করছে পুলিস? অন্যদিকে, পুলিস বলার চেষ্টা করেন, যাদের বিরুদ্ধে ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে তাদের খোঁজ করছে পুলিস। তাতেও মহিলাদের ক্ষোভ প্রসমিত করতে পারেনি পুলিস।

    পুলিস বোঝানোর চেষ্টা করেন, আমাদের কথাটা একটু শুনুন। তাতেও শান্ত হননি মহিলারা। পুলিস সতর্ক করে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সেসব কথা না তুলে মহিলারা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ তাদের ধরছে না কেন? মহিলাদের উপর অত্যাচার চোখে পড়ে না? জাবাব দিন। আপনারা কী করছেন?  এই শাঁখা আর চুড়ি পরুন। আপনারা সরে যান আমরা শাহজাহানকে ধরব। আঙুল তুলে হুঙ্কার মহিলাদের। পুলিস আমাদের ধরছে আরও শেখ শাহজাহানকে দুধ কলা দিয়ে পুষছে। পুলিস বলার চেষ্টা করে, এইসব অভিযোগ জানানোর জন্য তো থানায় যেতে হবে।যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা বলে পুলিস। পাল্টা মহিলারা বলেন, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখব? এতদিন কী করছি তাহলে? রাস্তায় নেমেছি। রাস্তাতেই বিচার চাই। কেন শেখ শাহাজাহান ধরা পড়েনি? কেন গুন্ডাদের জন্য আমাদের লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে? আমরা মন্ত্রীকে এই শাঁখা শাড়ি দেব। আমরা গুন্ডাদের হাত থেকে বাঁচতে চাই। মহিলারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় নেতা অজিত মাইতির বিরুদ্ধে।একদিকে যখন পুলিসের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করছেন স্থানীয় মহিলারা তখন বেড়মজুরে গিয়ে এক নাম সংকীর্তনের আসরে ঢুকে জনসংযোগ করার চেষ্টা করেন মন্ত্রী সুজিত বোস ও পার্থ ভৌমিক। এলাকায় বিক্ষোভ নিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, অভিযোগ জামা দেওয়ার জন্য ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে অভিযোগে যদি সমস্যা থাকে তাহলে বিডিও অফিসে করুন। কোনও সরকারি কাজ হতে সময় লাগে তা সবাই জানেন। আপনারা অভিযোগ করেবন। প্রশাসনম এসে ব্য়বস্থা নেবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে বলেছেন, দেড় থেকে দুমাস সময় দিন। তাতে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আপনারা আন্দোলন করবেন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)