• 'বাংলার গর্জন কি, ১০ মার্চ কলকাতায় ট্রেলার দেখবে বাংলা বিরোধীরা'!
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • প্রবীর চক্রবর্তী: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোটে। কেন্দ্রীয় 'বঞ্চনা'র প্রতিবাদে এবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশ। 'বাংলার গর্জন কি, তার একটা ট্রেলার বহিরাগত, বাংলা বিরোধীরা ১০ মার্চ কলকাতায় দেখবে। সিনেমা টা তো ভোটে দেখবে', বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এদিন মহেশতলায় একটি জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অভিষেক। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'যাঁরা বড় বড় কথা বলে বেড়ায়, যদি পাল্টা সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকে, তাহলে ব্রিগেডের জায়গাটা তো রাজ্য সরকারের নয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। পাল্টা ১১ তারিখ বা ১২ তারিখ একটা সভা করে দিন, কত ক্ষমতা একবার দেখাক। কার্যত ২ সপ্তাহের কম সময়ে ব্রিগেড সমাবেশ। ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা নিজেরা থাকব, সাংসদ-বিধায়ক সকলে থাকব'।কেন এই ব্রিগেড সমাবেশ? অভিষেক বলেন, 'বাংলাকে লাঞ্জিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও অত্যাচারিত করে রাখার যে চক্রান্ত এবং একশো দিনের প্রকল্পের টাকা থেকে শুরু করে আবাসের টাকা, রাস্তার টাকা,  তারপর মিড-ডে মিল প্রকল্প থেকে শুরু একাধিক জনকল্য়াণমূলক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।  একাধিকবার মমতা বন্দ্যোাধ্যায় নিজে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন'।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, 'আবাস প্রকল্পে ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র, ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য।  রাজ্য ৪০ শতাংশ টাকা আগামীকাল ছাড়তে প্রস্তুত, কিন্তু কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে।আর একা তো ওভাবে রাজ্য ছাড়তে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন, আমরা অনেক এদের কাছে...আমাদের কোনও অহংকার নেই, কোনও ঔদ্ধত্য নেই। আমরা  গিয়েছি। মানুষের স্বার্থে দরবার করেছি। মানুষের স্বার্থে আমাদের যদি মাথা নিচু করতে হয়েছে, আমরা করেছি। কিন্তু কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে বা তিনি টাকা দেবেন, তারপরেই বাংলার মানুষ খাবে, তাঁর বাড়িতে জল পৌঁছাবে, তাঁর কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যাবে, তা তো নয়'।অভিষেকে চ্য়ালেঞ্জ, 'যদি কোনও বিজেপি নেতা বলে এই ২৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায় দিচ্ছে, এখানে ১০ পয়সা অবদান বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে। বা  এই আটাশশো কোটি টাকা খরচ করে, ৫৯ লক্ষ শ্রমিককে তাঁর বকেয়া, ২ বছরের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাতে  যদি  ১০ পয়সার অবদান বিজেপির সরকারের থাকে,  সরাসরি বিজেপির নেতাকে অনুরোধ করব, আপনি জায়গা ঠিক করুন, আমি যাব তথ্য দিতে'।তাঁর আরও বক্তব্য, 'মানুষকে জোর করে মিথ্যা বলছে, জোরজবরদস্তি রাজনীতি করে..এতদিন তো দেখা নেই। এখন ভোট ঘোষণা হবে, তার আগে আবার উৎপাত শুরু! ২ বছর কোথায় ছিলেন? সেকারণেই ব্রিগেড ডাকা। এই যে ২ বছর ধরে বাংলার প্রতি লাঞ্চনা এবং একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের টাকা গায়ের জোরে বন্ধ করে দেওয়া, তার বিরুদ্ধে এবং তার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগর্জন সভার আহ্বান তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)