যুবতীকে মারধরের পর গুলি করল জামিনে মুক্ত 'ধর্ষকরাই'!
২৪ ঘন্টা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজস্থানের কোটপুটলি-বেহরোর জেলার কোটপুটলি শহরে গত বছর একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে এবার ওই সধরশিতাকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। ২৫ বছর বয়সী ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পুলিস কর্তারা রবিবার এই কথা জানিয়েছেন।শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। সেই সময়ে ওই মহিলা তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে প্রাগপুরা থানা থেকে প্রায় ৫০মিটার দূরে কাজ থেকে ফিরছিলেন।
এই ঘটনার পরে প্রধান অভিযুক্ত পলাতক হলেও তার সহযোগী মহিপাল গুর্জর এবং রাহুল গুর্জরকে হামলার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অফিসাররা জানিয়েছেন।ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায়, যখন মহিলাটি তার ভাইয়ের সঙ্গে প্রাগপুরা থানা থেকে প্রায় ৫০মিটার দূরে কাজ থেকে ফিরছিলেন। কোটপুটলির পুলিস সুপার বন্দিতা রানা এইকথা জানিয়েছেন।রানা বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্ত রাজেন্দ্র যাদব এবং তার সহযোগী, মহিপাল গুর্জর এবং রাহুল গুর্জর, একটি টু-হুইলারে ভিকটিম এবং তার ভাইকে অনুসরণ করেছিলেন এবং আক্রমণ করেছিলেন। রাজেন্দ্র যখন ওই মহিলাকে পিছনে গুলি করে, অন্য দুই অভিযুক্তও তাদের ছুরিকাঘাত করে। এরপর তিনজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়’।যাদব গত বছরের ১৬ জানুয়ারী ওই মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত। পুলিসকর্তারা ওই খবর বলেছেন। যদিও ধর্ষণের মামলার বিষয়ে আর কোনও বিবরণ তাঁরা দেননি।ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যাদব সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর থেকে অভিযুক্তরা প্রাথমিক মামলা প্রত্যাহারের জন্য মহিলাকে চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ তার পরিবারের।শনিবারের হামলার পরে মহিলার পরিবারের দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ‘যাদব সেই সময় মামলায় গ্রেফতার হলেও সম্প্রতি জামিনে বেরিয়েছিলেন। তিনি মামলা প্রত্যাহারের জন্য ভিকটিমকে হুমকি দিতে শুরু করেছিলেন’।রানা আরও বলেন, ‘ভিকটিম মামলা প্রত্যাহার না করায় গত রাতে তারা তাঁর উপর নৃশংস হামলা চালায়’।বন্দুকের গুলিতে আহত মহিলাটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় জয়পুরের সওয়াই মান সিং (এসএমএস) হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই মহিলার মেরুদণ্ডে গুলি লেগেছিল এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তিনি ছুরির আঘাতেও জখম হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতের পরে ওই মহিলার ভাইকে এসএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর চিকিৎসা চলছে।ঘটনার তদন্তে এসপি রানা, বিরাটনগর সার্কেল অফিসার রোহিত সাকলা এবং স্টেশন হাউস অফিসার রাজেশ কুমারের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে।রানা বলেন, ‘এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পরে, দলটি রবিবার সকালে মহিপাল এবং রাহুলকে গ্রেফতার করে। যাদব এখনও পলাতক’।তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩৪১ (বেআইনি সমাবেশ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ১৯৫এ (অন্যকে তার ব্যক্তির কোনও আঘাতের হুমকি) ধারায় মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি অস্ত্র আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা যোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।রানা বলেন, ‘পুলিস তাদের টু-হুইলার এবং হামলার সময় আসামিরা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিল তা বাজেয়াপ্ত করেছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আরও তদন্ত চলছে’।