খুনের পরে কেটেছে পাঁচ বছর, এবার ফোন ট্র্যাক করে গ্রেফতার আরও ১ জন!
২৪ ঘন্টা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রসেনজিৎ মালাকার: ২০১৮ সালের লাভপুরের সাগর শেখ খুনের ঘটনায়, সাক্ষীদের কাছে আসা হুমকির ফোন ট্রাক করে পাঁচ বছর পর আরও একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কির্নাহার থানার পুলিস। যদিও অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তের।২০১৮ সালে লাভপুরের ঠিবা অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সাগর শেখকে বোমা মেরে খুন করার ঘটনায় পাঁচ বছর পর ফের একজনকে গ্রেফতার করলো কীর্নাহার থানার পুলিস।
অভিযুক্তের নাম সুজন শেখ। তার বাড়ি লাভপুরের ঠিবা অঞ্চলের কাজীপাড়া গ্রামে। পুলিস সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল এই অভিযুক্ত।জানা গিয়েছে সাগর শেখ খুনের সাক্ষীদের ফোন করে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া ও কেস তুলে নেওয়ার জন্য ফোন আসতো। কিছুদিন আগেও এক সাক্ষীর কাছে হুমকির ফোন যায়।কির্নাহার থানার পুলিস মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে গতকাল সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থেকে সুজন শেখকে গ্রেফতার করে। আজ সকালে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় তাঁকে।সূত্র মারফৎ জানা যায়, ২০১৮ সালে ২০ অগস্ট সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ লাভপুরে ঠিবা অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সাগর শেখ ঈদের বাজার সেরে মেয়েকে নিয়ে কাজীপাড়া বাড়ি ফিরছিল।লাভপুরের কাঁদরকুলো গ্রামে কুঁয়ে নদী বাঁধের উপরে দুষ্কৃতীরা তাঁর মোটরবাইক আটকায়। মেয়েকে ঝোপে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সাগর শেখকে লক্ষ্য করে গুলি করে ও বোমা ছুঁড়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাগর শেখ-এর। সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সিপিআইএম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন বলে দাবি করেছিল তাঁরা।ওই ঘটনায়, আগে ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। দীর্ঘ কয়েক বছর কেস চলার পর ২০২৩ সালে ছয় জনকেই খুনের অভিযোগের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেয় বোলপুর মহকুমা আদালত।বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তার বাড়ি গিয়ে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন।অভিযুক্ত সুজন শেখ কে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘আমি মারিনি আমাকে বিনা দোষে গ্রেফতার করেছে’।