• ১০ বছরেও নেই জেনারেটর, ইনভার্টারই ভরসা তপন ব্লকের হাসপাতালে
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • শ্রীকান্ত ঠাকুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লক আয়তনে সবথেকে বড়। তপন ব্লকের আয়তন ৪৪১.১০ স্কয়ার কিলোমিটার। ২০১১ জনগণনা অনুসারে ব্লকের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন লাখ।এর অধিকাংশই তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং এই ব্লকের চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে তপন হাসপাতালের উপরে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী তপন হাসপাতালেই সব থেকে বেশি সংখ্যায় প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা হয় এবং এখানেই সবথেকে বেশি প্রতিষ্ঠানিক প্রসব করানো হয়।

    তবুও এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে গত দশ বছরে কোনও জেনারেটর পরিষেবা নেই বলে জানা গিয়েছে। রাতে ওয়ার্ডগুলিতে ভরসা ইনভাটারের আলো।দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালে জেনারেটর কেন নেই তার সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। সাধারণ মানুষও জানে না কেন এই হাসপাতালে এতদিন ধরে ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়া হয়নি।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করছেন জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা হবে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সেই বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারছেন না। কারণ এর আগেও বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।সাধারণ অসুস্থতা থেকে শুরু করে প্রসুতি মায়েদের চিকিৎসা, সবকিছুর জন্যই সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত হাসপাতালে ন্যূনতম পরিষেবা চালু হোক। পাশাপাশি আরও কিছু চিকিৎসক দেওয়া হোক তপন হাসপাতালে এবং একটি জেনারেটরের ব্যবস্থাও করুক জেলা প্রশাসন।জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং হয়েছে এবং জেলা পরিষদের ফান্ড থেকে এই জেনারেটর কেনার ব্যবস্থা হচ্ছে। খুব দ্রুত তপন হাসপাতালে জেনারেটর লাগানো হবে’। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)