এক ফোঁটাও দুধ খেতে পায়নি সে! দু'মাসের শিশুর মৃত্যু গাজায়...
২৪ ঘন্টা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গাজায় এবার শিশুমৃত্যু। যুদ্ধের আগুনে জ্বলছে-পুড়ছে গাজা। অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু-- সে তো ঢের ঘটেছে। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় অনাহারে ভুগে শিশুমৃত্যুর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। জানা গিয়েছে, শিশুটির নাম মাহমুদ ফাত্তু। শিশু গত শুক্রবার গাজার আল-শিফা হাসপাতালে মারা গিয়েছে!
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দু'মাসের এক প্যালেস্টাইনি শিশু অনাহারে ভুগে মারা গিয়েছে। গাজা বহুদিন ধরেই অবরুদ্ধ উপত্যকা। সেখানে যুদ্ধের আবহাওয়া, গোলা-বারুদের গন্ধ। সেই আবহে বিপুল সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আগেই রাষ্ট্রসংঘের সতর্কবার্তা ছিল। দিনে-দিনে সে-কথাই সত্য হচ্ছে।ঠিক কী ঘটেছিল? ঘটনার একটি ভিডিয়ো আছে। সেই ভিডিয়োতে এক চিকিৎসাকর্মীকে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। তিনি বলছেন-- আমরা দেখলাম, এক মহিলা তাঁর শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। তাঁর কোলে থাকা শিশুটিকে দেখে মনে হচ্ছিল রুগ্ণ, মুমূর্ষু। আমরা দ্রুত শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। সেখানে গিয়ে জানা গেল, শিশুটি ভয়ানক রকমের অপুষ্টিতে ভুগছে। চিকিৎসকেরা শিশুটিকে দ্রুত আইসিইউ-তে স্থানান্তর করেন। আসলে গাজায় দুধের সরবরাহ একেবারেই না থাকায় শিশুটি কয়েকদিন ধরে দুধ খেতে পারেনি! সেই থেকেই এই অপুষ্টি, আর তার থেকেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজায় খাদ্য, পানীয় ও জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইজরায়েল। তবে নানা কারণে সেখান দিয়ে খাবারের ট্রাক ঠিকমতো ঢুকতে পারছে না গাজায়। ফলে গাজার অবস্থা খুবই শোচনীয়। এর মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের অবস্থা বেশি খারাপ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সেখানে একেবারেই খাদ্য-সহায়তা পৌঁছতে পারেনি। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ওই অঞ্চলে শিশুদের অপুষ্টির হার ক্রমে বাড়ছে। বাড়ছে অনাহার। রাষ্ট্রসংঘ একটা হিসাব দাখিল করেছে। সেই অনুসারে, গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে!