• মৃতদেহ নিয়ে বসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি!
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বিধান সরকার: উত্তরপাড়া রাজেন্দ্র অ্যাভিনিউর একটি বাড়িতে কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী গগন বরন মুখোপাধ্যায়ের। তারপর থেকেই নিজেদের স্বেচ্ছা গৃহবন্দী করে নেন বৃদ্ধের স্ত্রী শ্যামলী, ছেলে সৌরভ ও মেয়ে চুমকি মুখোপাধ্যায়। খাওয়া দাওয়া না করে তারাও ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঢলে পরতে থাকেন। যা টের পাননি প্রতিবেশীরাও। 

    সোমবার স্থানীয় কাউন্সিলর উৎপলাদিত্য চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, পুলিস নিয়ে ওই বাড়িতে যান। বৃদ্ধের আত্মীয় বৈষ্ণব দাস মুখোপাধ্যায় জানান, গত ৪ ঠা ফেব্রুয়ারী শেষ কথা হয়েছিল তাদের সঙ্গে। গগন বাবুর পর মৃত্যুতে শোকাহত ছিল পরিবারের সদস্যরা। তার জন্য এই অবস্থা হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব জানান, পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। বাড়ির বাকি তিন সদস্য বাড়িতেই ছিল দরজা বন্ধ করে। কেউ তাদের এক আত্মীয়কে ফোন করে জানায় মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। এরপর ওই আত্মীয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে ফোন করে বিষয়টি জানান। কাউন্সিলর আমাকে জানায়, আমি পুলিসকে জানাই। পুলিস এসে তালা ভেঙে তিনজনকে উদ্ধার করেছে। তাদের উত্তর পাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। কি কারণে এই ঘটনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে এই প্রথম নয়, আগেও রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া পড়েছে হুগলির উত্তরপাড়ায়। তিনদিন ধরে স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে বসে ছিলেন স্ত্রী। ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। খারাপ কিছু ঘটেছে আশঙ্কা করে প্রতিবেশীরা ওই এলাকারই বাসিন্দা পুলিস ডাকেন। তারপর পুলিস এসে ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করে বৃদ্ধের মৃতদেহ। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)