পানীয় জলের সংকট! রাস্তায় জলের শূন্য পাত্র রেখে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের...
২৪ ঘন্টা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গরম পড়তে না পড়তেই এলাকায় জলকষ্টের আভাস। বাংলার লালমাটি অঞ্চলে এমনিতেই জলের সংকট। প্রতি গ্রীষ্মেই তার কিছু রকমফের ঘটে থাকে। ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার মানবাজার শহর। এবার এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল সরবরাহের দাবিতে মানবাজার-বরাবাজার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিনের অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মানবাজার থানার পুলিস।
অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েকমাস ধরেই মানবাজারের উপরপাড়া-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পাইপ লাইনে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করা হচ্ছে না। এতে টানা জলসংকট দেখা দিয়েছে এই এলাকায়। পাইপ লাইন থেকে জল পড়ছে সুতোর মতো। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। এরই জেরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে রাস্তায় জলের পাত্র রেখে পথ অবরোধ করেন। মানবাজার থানার পুলিস অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।শীতের শুরুতেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছিল সর্বত্র। একদিকে যেমন নদীর জল শুকিয়ে গিয়েছে, তেমনই বাড়ির কুয়োর জলস্তরও একেবারে মাটিতে নীচে পৌঁছেছে। এতে বিভিন্ন চা-বাগান-সহ গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়ছে।যেমন একই ছবি মালবাজারে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাতাবাড়ি এলাকায় পানীয় জল প্রকল্পের কাজের সূচনা হল আনুষ্ঠানিক ভাবে। এই প্রকল্পের কাজের সূচনা করলেন পঞ্চায়েত প্রধান দীপা মিজার, ছিলেন অন্যান্যরা।পানীয় জলের জন্য ওই এলাকার বাসিন্দাদের এতদিন কুয়োর জলই ছিল একমাত্র ভরসা। তা-ও আবার ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে কুয়োর জল। এই জল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যা দূর হবে বলে জানান এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার প্রায় ২০০টি পরিবার পানীয় জলের সুবিধা পাবে বলে প্রশাসনিকসূত্রে জানানো হয়েছে। প্রায় দুমাসের মধ্যে বাড়ি-বাড়ি জল পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে।এই সময় মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। বহু জায়গায় কুয়োর জল শুকিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অনেকে জল কিনে খান। আবার কেউ-কেউ দূর-দুরান্ত থেকে জল এনে খায়।