• আধার সমস্যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল
    আজকাল | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, ‌দিল্লি:‌ আধার নিষ্ক্রিয় হওয়া, চোপড়ায় বিএসএফের নালা সম্প্রসারণের কাজ চলাকালীন শিশু মৃত্যু এবং বাংলার আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে জেলাস্তরে কমিটি তৈরির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। সোমবার বিকেল ৩টেয় তৃণমূলের ৫ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে দেখা করে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, প্রতিমা মণ্ডল, দোলা সেন, সাজদা আহমেদ এবং সাকেত গোখলে। বিষয়গুলি নিয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আধ ঘণ্টার বৈঠকের পর বাইরে সাংবাদিকদের সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‌নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তাদের, এমনই ধারণা হচ্ছিল আমাদের। কারণ, সেখানে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বলা ছিল না। আজ আলোচনায় জানা গেল, ইডি, শুল্ক দপ্তর, আয়কর দপ্তর ছাড়াও রাজ্য সরকারেরও বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে।’‌ তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয়, সারা ভারতে এই পদ্ধতি কার্যকর করা হবে। সুখেন্দুশেখর জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। আজও অনেক আধার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‌কোনও আধার কার্ড পুরোপুরি বাতিল, কোনওটাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এভাবে আধার কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে পদক্ষেপ করতে পারে না। এটা বেআইনি।’‌ আধার আইনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‌কোনও আধার কার্ড বাতিল বা নিষ্ক্রিয় করতে হলে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে এবং তারপর সেই ব্যক্তিকে ডেকে শুনানি করতে হবে। ফলে, কোনও তদন্ত বা শুনানি ছাড়া এই পদক্ষেপ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি আধার আইন এবং স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।’‌ তিনি জানান, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে, কোনও নাগরিকের ভোটার কার্ড থাকলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন এবং আরও ১১টি সরকারি নথি ব্যবহার করা যাবে। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিএসএফের একটি নির্মীয়মান নর্দমার গর্তে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৪ জন শিশু। তৃণমূলের তরফে এটিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাফিলতি বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‌গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে বিনা প্ররোচনায় নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয় এবং সেই গুলিতে ৪ জন গ্রামবাসী প্রাণ হারান। আজ পর্যন্ত সেই হত্যাকারীদের তরফে রাজ্য পুলিশ তদন্তে সহযোগিতা পাচ্ছে না। আমরা এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছি যেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকে এবং রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ করে।’‌ তিনি জানিয়েছেন, শীতলকুচির ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে নজর রাখবে নির্বাচন কমিশন।
  • Link to this news (আজকাল)