• 'সন্দেশখালি যাইনি, আমি অঞ্চল সভাপতি নই, বিধায়ক’! হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো বার্তা অজিত মাইতির
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ই গোপি: সন্দেশখালির ভয়াবহ ঘটনার মাঝেই এবার নতুন সমস্যা। নাম বিভ্রাটে জড়িয়ে গেলেন তৃণমূলের আরেক বিধায়ক। পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি এবং সন্দেশখালির অজিত মাইতির মধ্যে বিভ্রাট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এই মুহুর্তে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি পিংলার বিধায়ক। সেখান থেকেই ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন তিনি। ভিডিয়ো বার্তায় এই বিভ্রাট বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।  

    ‘সন্দেশখালি কখনোই যায়নি, আমি অঞ্চল সভাপতি নই বিধায়ক’। নাম বিভ্রাটের জেরে হাসপাতাল থেকে এই বার্তাই দিলেন পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি।কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। নাম বিভ্রাট নিয়ে তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে অপপ্রচার আটকানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।সোমবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাংসদ দেব। অজিত মাইতি ওই বার্তায় বলেন, ‘কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে আমি ভর্তি। আমি সন্দেশখালীর অজিত মাইতি নই। আমি পঞ্চায়েত সভাপতি নই’।তিনি আরও বলেন, ‘আমি সন্দেশখালি চিনি না। আমি সন্দেশখালি যাইনি। আমি বিধায়ক একজন। আমি অনেকের পরিচিত মুখ। আমি হাসপাতালে শুয়ে আছি’।তিনি জানিয়েছেন, ‘সন্দেশখালির অজিত মাইতি বলে আমার ছবি দিয়ে প্রচার চলছে। উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে এটা করা হয়ে থাকতে পারে। দয়া করে এই বিভ্রান্তি দূর করুন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আমার সেখানে মানুষ এই ভুলের কারণে বিব্রত হচ্ছে’।তিনি দাবি করেছেন, ‘এরপরেও যদি কেউ প্রচার করেন, তারা আমার ইমেজ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে নষ্ট করছেন। ভ্রান্ত প্রচার বন্ধ হলে সামাজিকভাবে সকলের মর্যাদা বাড়বে’।রবিবার ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে অজিত মাইতিকে ঘেরাও করে রাখেন মহিলারা। পুলিস না থাকলে বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারত বলেও মনে করা হচ্ছে। তাড়া খেয়ে অজিত মাইতি আশ্রয় নেয় এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে। গেট লাগিয়ে দিয়ে কাঁপতে থাকেন অজিত মাইতি। প্রাণপণে একের পর এক ফোন করতে থাকেন আতঙ্কিত অজিত।দিনভর জনরোষে আটক থাকার পর সন্ধেয় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতে উদ্ধার করে আটক করেছিল পুলিস। রবিবার স্থনীয়দের তাড়া খেয়ে ওই সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আটকে ছিলেন অজিত।বেড়মজুরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। সেখানেই গিয়েছিলেন অজিত মাইতি। বাড়ি ফেরার পথে তাকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। এরপরেই তিনি সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে কোলাপসিবল গেট টেনে তালা লাগিয়ে দেন তিনি।     
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)