প্রসেনজিৎ সর্দার: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দাপটে নেতা শেখ সাহজানকে যেমন পুলিস ধরতে পারছে না। ঠিক তার পাশের বিধানসভার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে সহজেই গ্রেফতার করে ফেলেছিল পুলিস। এখন ভাঙড় ২-এর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম জেলে থাকলেও ভাঙড় ২ শক্ত ঘাঁটি আইএসএফের। তবে আরাবুলের অনুপস্থিতিতে এলাকা সামলাচ্ছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খয়রুল ইসলাম।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে যেভাবে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড় তা এখন অনেকটাই শান্ত। ভাঙড়ে কলকাতা পুলিসের আগে বারাইপুর জেলা পুলিসের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিনই প্রায় মিথ্যা কেসে একাধিক আইএসএফের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছিল বলে দাবি ছিল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ও পরে বিভিন্ন সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসছিল ভাঙর। কোথাও বোমা উদ্ধার হচ্ছে তো কোথাও অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে।আর বারে বারে আরাবুল ইসলাম দাবি করে আসছিল, সবটাই আইএসএফের তরফে ঘটানো হচ্ছে। কিন্তু সেই আরাবুল ইসলাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক আইএসএফ কর্মীর খুনের ঘটনা ও এলাকায় টাকা তোলার অভিযোগে এখন জেলে। তাই লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে ভাঙড় টু-এর আইএসএফের শক্ত ঘাঁটিকে ভাঙতে পথে নেমেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি নেতা খয়রুল ইসলাম। আর হাতিয়ার করেছে এলাকা উন্নয়ন।বিশেষ করে বিরোধীদের থেকে বেশি ভোটে লিড দিতে ময়দানে নেমে পড়েছে খয়রুল ইসলাম। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সামনে রেখে রাস্তা তৈরি, পানীয় জল সমস্যা মেটানো ও মানুষের বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান করতে প্রায় সময় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলের এই নেতা। তিনি বলেন, কোনও রাজনৈতিক ইস্যু তিনি দেখছেন না। সবাইকে নিয়ে শান্তির পরিবেশে এলাকা উন্নয়ন করতে হবে। ইতিমধ্যে বিরোধীরা, বিশেষ করে আইএসএফের তরফ থেকে জানানো হয় এলাকা উন্নয়ন হোক কিন্তু সেটা আইন ও নিয়ম মেনে।