পাড়া থেকেই অপহৃত; সিসিটিভিতে ধরা পড়ল ছবি, ১০ দিন পরও নিখোঁজ দশম শ্রেণির ছাত্রী
২৪ ঘন্টা | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রণজয় সিংহ: জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির এপর্যন্ত একের পর এক খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে মালদহে। এবার ফের এক ছাত্রী অপহরণের ঘটনা ঘটে গেল মালদহ শহরে। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাইকে যে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে। তবুও অপহরণের ১০ দিন পরও হদিশ নেই ওই ছাত্রীর। ছাত্রী অপহরণের সেই ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানায়। অপহৃত দশম শ্রেণির ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ছাত্রীর বাবা। মালদা জেলা জুড়ে শিশু থেকে মহিলা খুনের ঘটনা ঘটেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। যা ঘিরে তোলপাড় হয়েছে মালদা জেলা। ৩১ জানুয়ারি ইংরেজবাজার থানা এলাকাতে এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ভুট্টার খেতে এক যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় মোথাবাড়ি থানা এলাকায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি মালদা থানা এলাকায় এক পরিত্যক্ত ইট ভাটাতে দশম শ্রেণির আদিবাসী ছাত্রীর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা ঘটে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বৈষ্ণবনগর থানাতেও এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ভুট্টার খেতে। এমন পরিস্থিতিতে আবার এক দশম শ্রেনীর ছাত্রী অপহরণ। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।ছাত্রীর বাবা সেখ দুলাল বলেন, ও দশম শ্রেণিতে পড়ে। জোর করে ওকে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছে দুজন। বাইকের কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। ইংরেজবাজার ও মালিকচক থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। দশ দিন হয়ে গেল। গ্রাম থেকে বের হওয়ার মুখে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। তাতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। একজনকে চিনতে পারা গিয়েছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি চাই।ছাত্রীর এক প্রতিবেশী দেবাশীষ দাস বলেন, কিছুদিন আগেই দেখলাম মালদহেরই একটি মেয়ে সৃষ্টিকে নিয়ে। সেই সৃষ্টিকে আর পাওয়া গেল না। তাকে মেরে ফেলা হল। গত ২২ ফেব্রুয়ারি আমাদের পরিচিত এক ব্যবসায়ীর মেয়েকে পাড়ারই দুটো ছেলে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যায়। ওই ঘটনার পর উনি মিল্কি ফাঁড়ি, ইংলিশবাজার থানা-সহ বিভিন্ন জায়গাতে ছোটছুটি করেন। এলাকার প্রতিটি থানাতে রোজই যাতায়াত করেন। কোনও সুরাহা হয়নি। মালদহ শহরে কদিন আগেই এরকম ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও পুলিসে কে উদাসীন? পুলিস কেন ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে দিতে পারছেন না বুঝতে পারছি না।