চম্পক দত্ত: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত চন্দ্রকোনার কোল্লা গ্রাম। সাতসকালে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে তাজা বোম। ফের প্রকাশ্য তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। একপক্ষের দাবি, গ্রামে জলসা বন্ধ করতে করা হয় বোমাবাজি। পাল্টা অপর পক্ষের দাবি, অঞ্চল ভিত্তিক নির্বাচনী চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে অঞ্চলের সহ সভাপতিকে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা দখলের চেষ্টা বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর।
রাতে বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিস। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কোল্লা গ্রামের। পঞ্চায়েত নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকেই একাধিকবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এই কোল্লা গ্রাম। আর প্রতিবারই সামনে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।মূলত এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর কোন্দল অজানা নয়। সোমবার রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোল্লা গ্রাম। রাতে গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। আর এই বোমাবাজির ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর কোন্দল।জানা গিয়েছে,পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষ টিকিট না পাওয়ায় আম চিহ্নে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করে। পরে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয় দলে।অঞ্চল সহ-সভাপতি ইসমাইল খাঁন ও অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দ্বন্দ্ব ব্লক থেকে জেলা নেতৃত্ব কারও অজানা নয়। আম চিহ্নে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কোল্লার নেতাদের দাবি, এলাকায় জলসা হচ্ছিল। তৃণমূলের বুথ সভাপতি জিয়াউর রহমানের অনুগামীরা বোমাবাজি করেছে আর এই জিয়াউর রহমান অঞ্চল সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিত।বুথ তৃণমূলের সভাপতি জিয়াউর রহমানের অনুগামী কোল্লা বুথের যুব সভাপতি আব্বাসউদ্দিন খানের দাবি, আম চিহ্নে জয়ী হওয়া বর্তমানে তৃণমূল কর্মীরাই এলাকায় বোমাবাজি করেছে এলাকার রাশ নিজেদের হাতে রাখার জন্য। তবে যাই হোক সাত সকালে এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বোমা ছড়িয়ে থাকার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি হীরালাল ঘোষ অবশ্য গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে পুলিস প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে এমনটাই জানান।