জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানুষের জন্য কিছু করার প্রেরণাই তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছে। যাঁরা বলেন, ইচ্ছে থাকলেও তিনি কারও জন্য কিছু করতে পারছেন না, তাঁদের কাছে তিনি শিক্ষণীয়। পার্থ করচৌধুরী। তবে এই নামে তাঁকে কতজন চেনেন, তিনি এ অঞ্চলের অবিসংবাদিত হসপিটাল ম্যান! ইচ্ছেশক্তি আর কর্মশক্তির জোরেই তাঁর এই বিরল অর্জন।
রোগীর বাড়ির কাছে তিনি বড় ভরসা। বাঙ্গুর, চিত্তরঞ্জন, শম্ভুনাথ পণ্ডিতে যেসব রোগী ভর্তি থাকেন, তাঁদের পরিবার-পরিজনদের কাছে এই হসপিটালম্যান একটা ভরসা, একটা অবলম্বন। তাঁর হাতে কমপক্ষে দেড়শোজন খেতে পান। ২০১৬ সালে পার্থ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখনই তিনি কাছ থেকে রোগীর বাড়ির পরিজনদের কষ্ট দেখেন।তাঁর নিজের অবশ্য খুব প্রাচুর্যের সংসার নয়। বাড়িতে অন্য সদস্যরাও আছেন। তবু তারই মধ্যে শুরু করলেন তিনি। প্রথমে খুব লো স্কেলে। রাতে মুড়ি-বিস্কুট ঠোঙায় পুরে বিলি করতেন। প্রথমে ৩০-৩৫ প্যাকেট করে শুরু। পরে তাঁর কাজের পরিসর বাড়তে লাগল। কিন্তু তাঁর নিজের সামর্থ্য তো সীমিত। তখন তিনি আশপাশের দোকানগুলিতে অনুরোধ করলেন, বাড়তি খাবার ফেলে না দিয়ে তারা যেন তাঁকে দেন। সেভাবেই শুরু হল এক নতুন ব্যবস্থা। তাতেও অনেক গরিব মানুষ খেতে পেলেন।ইদানীং এক নতুন ভূমিকায় তিনি। খাবারের পাশাপাশি তিনি শুরু করেছেন মেডিক্যাল ক্যাম্প। সেখানে ইসিজিও হচ্ছে!