• সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতায় ধরনা! বিজেপিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি হাইকোর্টের....
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: '১৫০ জন জমায়েত করতে পারবে'। সন্দেশখালিকাণ্ডে  শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে ধরনার অনুমতি দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি কৌশক চন্দের মন্তব্য, 'শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং ধরনার অধিকার সকলের আছে। গ্রহণযোগ্য বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? সন্দেশখালিকাণ্ডে বিক্ষোভের আঁচ এবার কলকাতায়! গত শুক্রবার বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে টানা ৩ দিন ধরনা কর্মসূচি পালন করা হবে। কবে?  আজ, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবাক পর্যন্ত। ধরনায় নেতৃত্ব দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।বিজেপির অভিযোগ, নিয়ম মেনে ধরনার জন্য পুলিসের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি মেলেনি। এরপর গতকাল, সোমবার হাইকোর্টে মামলা করেন সুকান্ত। আজ, মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে।বিজেপির অভিযোগ, নিয়ম মেনে ধরনার জন্য পুলিসের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি মেলেনি। এরপর গতকাল, সোমবার হাইকোর্টে মামলা করেন সুকান্ত। আজ, মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে।শুনানিতে রাজ্য়ে তরফে বলা হয়, 'শুধু পরীক্ষা নয়, ওখানে চাকরিপ্রার্থীরা ধরনা করছে'। কিন্তু যুক্তি খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, 'কেউ আইন ভঙ্গ করে কিছুই করতে পারবে না।কেউ আইন ভঙ্গ করে কিছুই করতে পারবে না। ১৫০ জন জমায়েত করতে পারবে। কোনও মাইক ব্যবহার করা যাবে না'।বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা প্রত্য়াশিতই ছিল। মানুষের বিচারব্য়বস্থার প্রতি আস্থা আছে। কোন বিচারক বা পুরো বিচারব্যবস্থাটা... তৃণমূলের মতো কেউ উন্মাদ হয়ে যায়নি। সামান্য়তম প্রতিবাদ, সামান্যতম সমালোচনা তারা গ্রহণ করতে পারে না'।  তাঁর মতে, গণতান্ত্রিক ব্য়বস্থা যদি পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনতে হয়,  রাজনৈতিক বহুত্ববাদ যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি কৃষ্টিকে যদি আবার পুরনো জায়গায় ফেরানোর চেষ্টা করতে হয়, তাহলে এই সরকারটাকে সরিয়ে দিতে হবে'।তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা কটাক্ষ, 'একটা দল, তাঁরা রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে, এখন ওদের মহাত্মা গান্ধীর পাদদেশ কেন পছন্দ হল, বলতে পারব না। ওরা তো মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে-র পূজারী। এখন হঠাৎ নাটক করতে গিয়ে, মহাত্মা গান্ধীর পাদদেশের বসতে হবে। আদালত বলে দিয়েছেন, ১৫০ জনের বেশি আনা যাবে না। ওদের সুবিধা হল, কারণ, ওদের কর্মসূচি তো দেড়শোর জনের  বেশি লোক হয়ও না। ফলে লোকবল দেখানোরও আর প্রশ্ন রইল না। সাংগঠনিক দূর্বলতাটা আদালতে রায় দিয়ে কাটিয়ে দিতে পারবে'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)