• ১০০ দিনের টাকা মিলতেই উচ্ছ্বসিত শ্রমিকরা, আবিরে সবুজ মগরা ...
    আজকাল | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: গোটা গ্রাম সবুজ আবিরে ছেয়ে। দোল পূর্ণিমার আগে অকাল হোলি খেলায় মাতল মগরা। হাসি ফুটল শ্রমিকদের মুখে। কারণ, প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রায় দুই বছর পর তাঁদের হাতে এসেছে ১০০ দিনের কাজের টাকা। কেন্দ্রের প্রকল্প ১০০ দিনের কাজ করে প্রায় দুই বছর টাকা পাননি ওই গ্রামের শ্রমিকরা। কারণ ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কেন্দ্র সরকার টাকা না দিলেও, গরিব শ্রমিকদের ১০০ দিনের সেই কাজের টাকা মেটাবে রাজ্য। মঙ্গলবার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হল। বকেয়া টাকা ঢুকল শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। টাকা পেয়ে খুশি শ্রমিকরা সবুজ আবির মেখে অকাল হোলি খেলায় মাতলেন। শ্রমিকদের বক্তব্য, এবার তাদের ধার দেনা শোধ হবে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের অধীন ১০০ দিনের কাজে দূর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে কেন্দ্র সরকার। পশ্চিমবঙ্গের ২১ লক্ষ শ্রমিকের বয়েকা আদায়ের দাবিতে রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের লাগাতার আন্দোলন ধর্না কার্যত বিফলে গেছে। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ধর্নামঞ্চ থেকে ঘোষনা করেন ১০০ দিনের শ্রমিকদের টাকা মেটাবে রাজ্য সরকার। তার পরেই লোকসভা ভোটের আগে মাস্টার স্ট্রোক। রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ ঘোষণার পর রাজ্যের তরফে দ্রুত শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর ব্যাবস্থা করা হয়। সোমবার থেকে শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করে। এদিন মগড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রমিকরা টাকা হাতে পান। টাকা পেয়ে স্বভাবতই খুশি তাঁরা। ১০০ দিনের শ্রমিক সুবল বাগ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অনেক দিন পরে হলেও তিনি তাঁর বকেয়া টাকা পেয়েছেন। এবার ধার দেনা সব শোধ করতে পারবেন। নমিতা মাল বলেছেন, তিনি সাত হাজার টাকা পেয়েছেন। খুব উপকার হয়েছে। মগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রঘুনাথ ভৌমিক বলেছেন, শ্রমিকদের ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া ছিল। মগড়া ১ পঞ্চায়েতের ৮৮০ জন শ্রমিকের মোট ৩১ লক্ষ টাকা বকেয়া ছিল, যা এদিন তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। ইতিমধ্যেই ১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এদিন শ্রমিকরা ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে টাকা তুলছেন। তবে কিছু শ্রমিকের সমস্যা রয়েছে। কারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সচল না থাকায় টাকা তুলতে পারেননি অনেকেই। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা গ্রামে গিয়ে বোঝাচ্ছেন, কে ওয়াই সি জমা দিলেই অ্যাকাউন্ট সচল হবে, টাকা পেয়ে যাবেন শ্রমিকরা। বকেয়া টাকা হাতে পেয়ে গোটা গ্রাম হোলি খেলার আনন্দে মেতে ওঠে। রাস্তায় নেমে ধামসা মাদল বাজিয়ে চলে নাচ। বকেয়া টাকা পেয়ে প্রত্যেকেই ধন্যবাদ জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)