ইউটিউব থেকে শিক্ষা, এটিএমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পাকড়াও যুবক
২৪ ঘন্টা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কিরণ মান্না: ইউটিউবের বিদ্যে হলে যা হয়। এটিএম জালিয়াতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের এক যুবক। তাকে গ্রেফতার করেছে রামনগর থানার পুলিস। ধৃত যুবকের নাম তাপস দাস। বাড়ি এগরা থানার কোউটগেড়িয়া গ্রামে। ইউটিউবের বিদ্যে নিয়ে সে এর আগে কাঁথির একটি এটিএমেও জালিয়াতি করেছে বলে সে স্বীকার করেছে।
দীঘার একটি হোটেল কাজ করত তাপস। সেখানে থাকাকালীনই সে ইউটিউবে এটিএম জালিয়াতি শেখে। শেখার পরই সে তা প্রথমে প্রয়োগ করে কাঁথির একটি এটিএমে। সফলও হয়। মঙ্গলবার পানিপারুলমোড়ের একটি এটিএমে টাকা তুলতে যান নহরিয়া গ্রামে বাসিন্দা অংশুমান পন্ডা। পুলিস সূত্রে খবর, এটিএম-এ ডেবিট কার্ড ঢুকিয়ে ৫ হাজার টাকা তোলার চেষ্টা করেন তিনি। দেখেন টাকা বের হচ্ছে না কিন্তু টাকা তোলার স্লিপ বেরিয়ে আসছে।টাকা তুলতে না পেরে অংশুমানবাবু বেরিয়ে আসেন। এরপরই ওই এটিএমে টাকা তুলতে আসেন অংশমানবাবুর এক বন্ধু। তাঁরও একই অভিজ্ঞতা হয়। বারবার এমনকাণ্ড ঘটায় সন্দেহ হয় অংশুমানবাবুদের। তারা এটিএম থেকে বেরিয়ে এসে কিছুদূরে অপেক্ষা করেন। লক্ষ্য রাখতে থাকেন ওই এটিএমের উপরে।কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে যায় এক অদ্ভূত ঘটনা। অংশুমানবাবু ও তাঁর বন্ধু দেখেন মুখে মাস্ক পরে এক যুবক ঘুরুঘুর করতে করতে এটিএমে ঢুকে গেল। এরপর এটিএমের মধ্যে শুরু হল তার কারসাজি। কিছুক্ষণ এরকম দেখেই অংশুমানবাবুরা দৌড়ে এসে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এর মধ্য়েই জড়ো হয়ে যায় এলাকার কিছু লোকজন। কথায় অসংগতি ধরা পড়ে যায় তাপস দাসের। শুরু হয়ে যায় মারধর। তখনই এটিএম জালিয়াতির কথা স্বীকার করে নেয় তাপস।গোলমাল শুরু হতেই অংশুমানবাবুরা বিষয়টি জানান রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়তে সমিতির সদস্য দীপক সারকে। তিনি আবার খবর দেন রামনগর থানায়। পুলিস এসে তাপসকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ওই জালিয়াতির কথা রটতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এর পেছনে কোনও চক্র রয়েছে কিনা বা আর কোথায় ওই যুবক জালিয়াতি করেছে কিনা তা নিয়ে জেরা শুরু করে পুলিস। তখনই বেরিয়ে আসে ইউটিউব দেখে সে ওই জালিয়াতি শিখেছে। এর আগে কাঁথিতে সেই ওই কাজ করেছে।