• তৃণমূল নেতার নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ! বহিষ্কারের পরেও অস্বস্তি শাসক শিবিরে
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • প্রদ্যুৎ দাস: তৃণমূল নেতার নাম ভাঙিয়ে এবার তোলাবাজির অভিযোগ উঠলো ওই নেতার এক অনুগামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তি ওই নেতার শিবিরে।জলপাইগুড়ি জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। তিনি একদিকে যেমন তৃণমূল-এর SC, OBC সেলের জেলা সভাপতি। পাশাপাশি তিনি SJDA-র সদস্য। এবার তার নাম ভাঙিয়ে হুমকি দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠলো তার অনুগামী রত্নদ্বীপ নন্দীর বিরুদ্ধে।

    অভিযোগ সামনে আসতেই অভিযুক্তকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আর এই বহিষ্কারকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টার বলে পালটা তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির।জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ির মোহিত নগর এলাকায় রয়েছে একটি বড়সড় সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা। সেখানেই কৃষ্ণ দাসের অনুগামীরা মোহিত নগর  ট্রাক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন শুরু করেছে। এর সম্পাদক রত্নদ্বীপ নন্দী নিজেও ট্রাক মালিক।অভিযোগ করা হয়েছে রত্নদ্বীপ নন্দী তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের ছবি ব্যাবহার করে ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন-এর ব্যানার বানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি রসিদ ছাপিয়েছেন। ট্রাক মালিক ও চালকদের হুমকি ও ভয় দেখিয়ে এলাকায় তোলাবাজি করছেন। সম্প্রতি এক ট্রাক মালিকের কাছে কৃষ্ণ দাসের নাম করে দু’লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। সেই ফোন রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।ট্রাক মালিক সুনীত দত্তর অভিযোগ তার দুটি লড়ি এই সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ভাড়া খাটে। সম্প্রতি এখানে রত্নদ্বীপ নন্দী নামে এক নেতা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন শুরু করেছেন। তারপর থেকে এখানে উনি প্রায়ই লোকজন নিয়ে এসে চড়াও হয়ে টাকা চান।লড়ি চালক পার্থ মোহন্ত বলেন, ‘গতকাল এখানে এসেছিলো রত্নদ্বীপ নন্দী। তিনি দুটি ট্রাক আটকে দিয়ে দু’লাখ টাকা দাবী করেন। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের হুমকি দেয়’।কৃষ্ণ দাসের অনুগামী তথা অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটের মুখে কৃষ্ণ দাসের নাম কালিমালিপ্ত করার জন্যই তার নাম ব্যবহার করে তোলা চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে আমরা তাকে বহিষ্কার করেছি’।অভিযুক্ত রত্নদ্বীপ নন্দী হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘ওই ট্রাক মালিক ওভার লোড করেছিলো। তাই তাঁকে ভয় দেখাতে হুমকি দিয়েছিলাম। তবে আমি টাকা নিইনি। এই ঘটনার জন্য আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি অনুতপ্ত। আমি দাদার নাম ব্যাবহার করে ভুল করেছি। আমি আবার দাদার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চাই’।তৃনমূল নেতা কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করছি। আমি অভিযোগ করব। আসলে আমি মানুষের জন্য ভালো কাজ করছি। দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছি। অনেক মানুষ আমার পাশে থাকে। তাই অনেকে আমাকে পছন্দ করে না। তাই আমার নাম ব্যবহার করে আমার বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমি দমে যাওয়ার পাত্র নই। অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করা হবে’।ঘটনার কটাক্ষ করেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ। বলেন, ‘গোটা বাংলা জুড়ে তৃনমূল নেতাদের সিন্ডিকেটরাজ চলছে। হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ করলেও পুলিস চুপ করে বসে আছে। জলপাইগুড়িতেও একই ঘটনা। এখানে ট্রাক মালিকদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় প্রতিবাদ করেছে। তাই ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনা সামনে আসার পর এখন বহিষ্কার এর নাটক করছে তৃণমূল’। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)