• উত্তপ্ত ইম্ফলে আক্রান্ত অতিরিক্ত পুলিস সুপার, সেনা নামল রাস্তায়
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইম্ফল পূর্ব জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মোইরাংথেম অমিত সিং-এর বাসভবনে ২০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র দুষ্কৃতি হামলা করে বলে জানা গিয়েছে। হামলার পর মঙ্গলবার মণিপুরে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।তাঁকে উদ্ধার করার পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এবং স্থিতিশীল বলেও জানানো হয়েছে।

    ট্যুইটারে একটি পোস্টে, মণিপুর পুলিস লিখেছে, ‘অতিরিক্ত পুলিস সুপার, ইম্ফল পূর্ব জেলার পোরোম্পট পিএস-এর অধীনে ওয়াংখেই তোকপাম লেইকাইয়ের মইরাংথেম অমিত সিং, এমপিএস-এর বাড়িতে প্রায় ২০০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতি গাড়িতে করে হামলা চালায়’।সেখানে আরও বলা হয়, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী। ফলস্বরূপ পুলিস অ্যাকশনে, রবিনাশ মইরাংথেম এবং কাঙ্গুজাম ভীমসেন নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং তাদের JNIMS হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে’।একজন সিনিয়র পুলিস অফিসারকে তার বাসভবন থেকে একটি মেইতেই সংগঠন, আরামবাই টেংগোলের ক্যাডাররা অপহরণ করে। তাঁরা বলেছে, এর পরেই অসম রাইফেলসের চারটি কলাম সহ সেনাবাহিনীকে ইম্ফল পূর্বে মোতায়েন করা হয়েছিল।এই নির্বিচারে গুলি চালানোর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই গ্রুপের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছিলেন এবং এই বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।গ্রেফতারের পর, মেইতেই মহিলা গ্রুপ মেইরা পাইবিসের একটি দল তাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার হামলায়, আরামবাই টেংগোলের সশস্ত্র ক্যাডাররা বাড়ি ভাংচুর করে এবং গুলি চালিয়ে অন্তত চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে জানা গিয়েছে।আক্রান্ত পুলিস অফিসারের বাবা এম কুল্লা জানিয়েছেন, ‘আমরা সশস্ত্র লোকদের প্রবেশের পর তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি, কিন্তু হঠাৎ তারা যানবাহন ও সম্পত্তি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তাই আমাদের ভিতরে ছুটে এসে নিজেদেরকে তালাবদ্ধ করতে হয়েছিল’।এই অঞ্চলটি তিন মে থেকে ক্রমবর্ধমান হিংসা দেখা গিয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদ করার পরে ১৮০ জনের বেশি মানুষের হতাহতের খবর পাওয়া যায়।মেইতেইরা, মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং প্রধানত ইম্ফল উপত্যকায় তাঁরা বসবাস করে। অন্যদিকে নাগা এবং কুকি আদিবাসীরা জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং প্রাথমিকভাবে তাঁরা পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করে। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)