• তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে শান্তি ফিরেছে জঙ্গলমহলে, ভোটের আগে মনে করালেন মমতা ...
    আজকাল | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: জঙ্গলমহল সফরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় সভা করার পর, বুধবার বাঁকুড়ায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস এবং সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। নির্বাচনের আগে এই জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আদিবাসী ভোট, তাদের জন্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরেছেন তিনি। অন্যদিকে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়েই মনে করালেন তাঁর জামানাতেই শান্তি ফিরেছে সেখানে। বাম জামানার শেষ দিকে জঙ্গলের অশান্তি, মাওবাদী উপদ্রব, রক্তপাত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তৃণমূল জামানায় বদল হয়েছে পরিস্থিতির। ক্ষমতার শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা সহ একাধিক বিষয়ে নজর দিয়েছেন জঙ্গলমহলের দিকে। সেকথাই আজ মনে করিয়েছেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, "আগে এসব জেলাতে অনেক অত্যাচারে, রক্ত ঝরত। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তিতে বাস করছে। তাঁদের ছেলে মেয়েরা স্কুল-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন, মানুষের মতো মানুষ হচ্ছেন।" বাঁকুড়ার মানুষের জন্য সরকারের নেওয়া উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথাও তুলে ধরেন তিনি। জানান, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর-সোনামুখি তিনটি মিউনিসিপ্যালিটির জন্য ১৬৪ কোটি ব্যয়ে তৈরি হয়েছে তিনটি পানীয় জল প্রকল্প, ১০১১ কোটি খরচে বাঁকুড়া-১,২, বড়জোড়া, শালতোলা সহ জেলার ব্লকগুলিতে তৈরি হয়েছে বড় বড় পানীয় জলের প্রকল্পে, যাতে ইতিমধ্যেই উপকৃত হয়েছেন ১৭ লক্ষ মানুষ। ১০৭৮ কোটি খরচে ইন্দপুর, তালড্যাংরা, মেজিয়া এবং গঙ্গাজলঘাটিতে তৈরি হচ্ছে পানীয় জল প্রকল্প, এতে উপকৃত হবেন ৬ লক্ষ মানুষ। একগুচ্ছ রাস্তার কথাও এদিন উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে রাজ্য সরকার কী কী করতে চলেছে এলাকার জন্য, সেগুলির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ডানকুনি থেকে পানাগড়, বড়জোড়া, বাঁকুড়া হয়ে রঘুনাথপুর পর্যন্ত তৈরি হবে ট্রেড করিডোর, এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাস্তার দু" পাশে শুধু শিল্প তৈরি হবে।" তাতে বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলেও উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে কটাক্ষ করেছেন গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপির নেতাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, শুধু ভাষণ দেন, আর কিছু করেন না। গেরুয়া শিবির নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষকে প্রকল্প, প্রতিশ্রুতির কথা বলেন, ভোট মিটে গেলেই সেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফের সুর চড়ান ১০০ দিনের বকেয়া নিয়েও। খালিস্তানি-মন্তব্য নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেন, "শিখদের দেখলেই বলছে খালিস্তানি,পাগড়ি পরলেই নাকি খালিস্তানি। মুসলনাম নাম দেখলেই বলছে পাকিস্তানি।"
  • Link to this news (আজকাল)