• ইতালি যাচ্ছে বীনা, মন খারাপ বেলডাঙ্গার, কিন্তু কেন'
    আজকাল | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে প্রায় সাত বছর পর "বাবা-মা"কে খুঁজে পেল মুর্শিদাবাদ জেলার একটি চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউশনে বড় হওয়া বছর সাতেকের মেয়ে বীনা (নাম পরিবর্তিত)। বীনার যখন মাত্র ১৪ দিন বয়স তখন তাকে তার নিজের বাবা-মা ফেলে দিয়ে চলে যান। এরপর তার ঠাঁই হয় একটি অনাথ আশ্রমে। এতদিন মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গার ভাগীরথী সেবা সদনে থেকে পড়াশোনা করে বড় হচ্ছিল বীনা। তবে তার বাবা এবং মায়ের পরিচয় ছিল অজানা। অবশেষে তাকে বাবা-মায়ের ভালবাসা এবং পরিচয় দেওয়ার জন্য সাত সাগর তেরো নদী পার হয়ে ইতালির রোমের এক নিঃসন্তান দম্পতি এলেন ভারতে। সরকারি যাবতীয় জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ ইতালির সেই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হল ভারতের বীনা। আর দিন সাতেকের মধ্যেই ভারত থেকে নিজের নতুন বাবা-মার সাথে ইতালি উড়ে যাবে বীনা। মুর্শিদাবাদ জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অন্যতম সদস্য নীলাঞ্জন পান্ডে বলেন, "ভারতবর্ষের শিশু অধিকার এবং প্রোটেকশন আইনে শিশুদের বিভিন্ন অধিকারের মধ্যে তাদের একটি পরিবারের সদস্য হওয়ার অধিকারের কথা বলা রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে যে সমস্ত শিশুরা হোমে রয়েছে তাদের দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।" তিনি বলেন, "২০২২ সাল নাগাদ ইতালীয় দম্পতি বেনেদেত্ত নেরণী এবং মারিনো সিমোনা "সেন্ট্রাল এডাপটেশন রেগুলেশন অথরিটি"র মাধ্যমে ভারতীয় একজন শিশু দত্তক নেওয়ার জন্য আইনি পথে আবেদন করেন। বিভিন্ন আইনি জটিলতা পেরিয়ে আজ ওই দম্পতির পরিবারের সদস্য হলো বেলডাঙা হোমের আবাসিক বীনা। ইতালির দম্পতি আজ থেকে ওই নাবালিকার বাবা-মা।" নিজের নতুন বাবা-মাকে খুঁজে পেয়ে যথেষ্টই খুশি বীনা। সরকারিভাবে ওই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বহু আগে থেকেই নিজের নতুন বাবা-মা-র সাথে ভিডিও কলে সে কথা বলতো। আধো গলায় সে বলে,"আমার খুব ভালো লাগছে বাবা মাকে খুঁজে পেয়ে। খুব তাড়াতাড়ি আমি ওদের সাথে বাড়ি ফিরে যাব।" তবে এই খুশির খবরের মধ্যেও মন খারাপ বেলডাঙ্গার ভাগীরথী সেবা সদনের আবাসিকদের। আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই যে সকলকে চোখের জলে বিদায় জানাতে হবে আদরের ছোট্ট বীনাকে।
  • Link to this news (আজকাল)