১৯ বছর সংসারের পর গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে!
২৪ ঘন্টা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রদ্যুত্ দাস: গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য। অভিযোগ গলা টিপে খুন করেছে তার স্বামী। এবং এর নেপথ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনার অভিযোগ দায়ের জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়। পলাতক স্বামী। জলপাইগুড়ি খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের নামাজি পাড়ার বাসিন্দা বছর ৩৮ এর ঝর্না খাতুন। বুধবার সকালে তার বাড়ি থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিস। মৃতার বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ তাঁকে গলা টিপে খুন করেছে তার স্বামী। এবং এর নেপথ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনা উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। এদিন অভিযোগ দায়ের করতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। জানা গেছে রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি গ্রামপঞ্চায়েতের মহান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ঝর্না খাতুন। প্রায় ১৯ বছর আগে তাঁর সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের নামাজি পাড়ার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর উসমান গনি মহম্মদের। দম্পতির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। একজনের বয়স ১৭ বছর, অন্যজনের বয়স ১৩ বছর বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে ভালোভাবেই সংসার চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে ছন্দপতন। অভিযোগ কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ বিধানসভার হলদিবাড়ি থানার অন্তর্গত কদমতলা এলাকার বাসিন্দা গোলাপি খাতুন নামে এক মহিলার সাথে উসমান আলির সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই খুন হতে হয়েছে ঝর্না খাতুনকে বলে অভিযোগ পরিবারের। এই মর্মে বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। এরপর থেকে স্বামী উসমানের ফোন সুইচ অফ। বাড়িতে দুই নাবালিকা মেয়েকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে সকলে। রাজগঞ্জের মহান পাড়া গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্দিক মহম্মদ বলেন, আমাদের গ্রামের এক মেয়েকে নির্মম অত্যাচার করে তার স্বামী হত্যা করেছে। এর পিছনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কর ঘটনা রয়েছে। তাই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি নিয়ে মৃতার পরিবারের সাথে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় এসেছি। মৃতার বাবা তফিরুল মহম্মদ বলেন কিছুদিন ধরে আমার জামাই উসমান আলির সাথে এক গোলাপি খাতুন নামে এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার মেয়ে এর প্রতিবাদ করেছিল। এরপর থেকে আমার মেয়ের সাথে অত্যাচার শুরু হয়। গত কয়েকদিন ধরে ঝগড়াঝাটি হচ্ছিল। গতকাল রাতে আবার নতুন করে আশান্তি হয়।তিনি জানান, আজ সকালে আমাদের কাছে খবর আসে যে আমার মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি মেয়ের দেহ মাটিতে নামানো। গলা ফুলে আছে। আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। আমি কোতয়ালি থানায় আমার জামাই ও গোলাপি খাতুন সহ মোট ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এদের শাস্তি চাই। এদিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।