জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গ্রীষ্মকালীন ফল হল আম। আর এই আম উৎপাদনে মালদা বিখ্যাত। তবে এই বছর তুলনামূলকভাবে জেলার আম গাছগুলিতে মুকুলের পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে আমচাষীদের মুখে চওড়া হাসি কিছুটা ম্লান। যদিও আমের ফলনের জন্য তৎপর জেলার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাগিচা উদ্যান পালন দপ্তর থেকে আমচাষীরা। মূলত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই মালদার আমবাগান গুলিতে মুকুল ধরতে শুরু করে। কিন্তু এই বছর কিছুটা হলেও মুকুলের পরিমাণ অনেক কম। এই সময় গাছের পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরী। মুকুল আসার ঠিক আগে আগে, গাছের সঠিক পরিচর্যা করলে ভালো মুকুল ফোটে।
জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তা সামন্ত লায়েক কৃষকদের আমের গাছ পরিচর্যা করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আম বাগান গুলিতে গাছের শাখা প্রশাখা ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে বলছেন। এতে গাছের উপরে ধুলোবালি পোকামাকড় সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। মুকুল ফিরতে অনেকটাই সুবিধা হবে। মুকুল ফোটার সময় কোনো রকম পোকামাকড়ের উপদ্রব হবে না। এ সময় প্রতিটি আমবাগানের গাছের গোড়া গোল করে খুঁড়ে দিতে হবে। নিয়মিত সেখানে জল দিতে হবে সঙ্গে জৈব সার দিলে খুব ভালো হবে। জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তা সামন্ত লায়েক আরো বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে মালদা জেলায় আমবাগান গুলিতে মুকুল আসতে শুরু করে। তাই গাছের পরিচর্যা করা খুব জরুরী। যে কারণে শুরু করা হয়েছে আম গাছগুলিতে স্প্রে করার কাজ। মুকুল ফুটে গেলে অনেক সময় ম্যাংগো হপারের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। ম্যাংগো হপারের উপদ্রব কমাতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে তাহলে গাছের মুকুল ভালো হবে আগামীতে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।মালদা জেলার প্রায় ৩৩হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। প্রায় চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের টার্গেট করা হয়। কিন্তু এই বছর এখনও তুলনামূলকভাবে আমের মুকুল অনেকটাই কম। তাই এ বছর ফলন খুব একটা ভালো হবে না বলে আশা প্রকাশ করছেন আমচাষী থেকে ব্যবসায়ীরা।মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান আম গাছগুলিতে মুকুলের পরিমাণ কম। এই সময় প্রতিবছর আম গাছগুলি মুকুলে ভরে যায়। তবে ফেব্রুয়ারি মাস শেষ এখনও গাছগুলিতে তেমনভাবে মুকুল আসে নি। তাই উৎপাদন কম হলে আম বাঙালির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। আম রপ্তানিও করা যাবে না। ক্ষতি হবে আম ব্যবসা।