সন্দেহের তির ২ তরুণের দিকে, নাবালিকা ছাত্রীনিখোঁজ-কাণ্ডে বাড়িতে সিবিআই টিম
২৪ ঘন্টা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অরূপ লাহা: সাত মাস ধরে নিখোঁজ নাবালিকা। অষ্টম শ্রেণির সেই নিখোঁজ ছাত্রীকে তদন্তে তার বাড়িতে এল সিবিআই। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসেন সিবিআইয়ের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাঁরা এসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন।
নিখোঁজ নাবালিকার তদন্তে এল সিবিআই। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার মাছখাণ্ডা এলাকায় সিবিআইয়ের তিন সদস্য তদন্তে আসে। প্রথমে নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। পরে এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।গত ৯ আগষ্ট পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানা এলাকা থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। সে স্থানীয় হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সেই ছাত্রীকে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ সফিকুল ও শেখ জসীমউদ্দিন নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। খণ্ডঘোষ থানার লতিফপুর ও বাদুলিয়ায় তাদের বাড়ি। দু’দফায় ৭ দিন তাদের হেফাজতে নিয়েও ছাত্রীর হদিশ পায়নি পুলিস। দ্বিতীয় দফার ৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের আরও ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান রায়না থানার তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম।গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। তারপর থেকে তার হদিশ মিলছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও ছাত্রীর খোঁজ না পেয়ে তার মা ১৭ আগষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েকদিন পর পরিবার জানতে পারে তাদের মেয়েকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে গেছে খণ্ডঘোষের লতিফপুর এলাকার সফিকুল সেখ ও বাদুলিয়া এলাকার জসিম সেখ। পরিবারের দাবি জসিম সকলের সামনে স্বীকার করেছিল সে মেয়েটিকে বাইকে চাপিয়ে স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল সফিকুলের কাছে। পরিবারের আরও দাবি, তারা অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল।নাবালিকা অপহরণকারীদের কঠিন শাস্তি ও তাকে উদ্ধাররের দাবিতে পথ অবরোধ হয় রায়নায়। ভারত জাকাত মাঝি পরগনা নামে এক আদিবাসী সংগঠন গত ১২ অক্টোবর রায়না থানার শ্যামসুন্দর বাজার মোড়ে অবরোধ করে। পুলিসের তদন্তে উদাসীন মনোভাব দেখে ১৫ জানুয়ারি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পুলিশের হাতে মামলা থাকাকালীন দু'জন গ্রেফতার হলেও ৯০ দিনের মধ্যে চার্জসিট না দেওয়ায় জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত সফিকুল সেখ ও জসিমউদ্দিন সেখ। আগামী ১৩ মার্চ পরিবর্তী শুনানিতে সিবিআইকে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।