উদ্ধার ৪ কেজি সাপের বিষ, বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকা...
২৪ ঘন্টা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বড়সড় সাফল্য রাজ্যের বন দফতরের। বন দফতরের কার্শিয়াং ওয়াইল্ড লাইফ ফরেস্ট ডিভিশন, বাগডোগরা রেঞ্জ ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর যৌথ অভিযানে উদ্ধার হল প্রায় চার কেজি সাপের বিষ। উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা!
এই ঘটনায় একদিকে যেমন স্থানীয় মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, অন্য দিকে, তেমনই এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বন দফতরও। কেননা এরকম প্রায়শই ঘটছে। এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর এবং ৩০ ডিসেম্বর শিলিগুড়িকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকার সাপের বিষ পাচার করার খবর ছিল। বিশ্বস্তসূত্রে খবর পেয়ে সেই ছক সেবার বানচাল করে দিয়েছিল বন দফতর। ফের সেই ধরনের ঘটনা। তাই বিষ পাচারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বন দফতরের অন্দরেও।বন দফতর ও ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দ মহম্মদ শাহানাওয়াজ (২৭), মহম্মদ তওহিদ আলম (৩৯), মহম্মদ আজমল (২৮) নামে তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর। ধৃতদের মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। বাগডোগরার রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, "ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্সে তৈরি বিশেষ রকমের দুটি কাচের জারে ওই সাপের বিষ রাখা ছিল। সেই জার দুটি উদ্ধার হয়েছে। একটিতে ১ কেজি ৭৯৬ গ্রাম, অন্যটিতে ২ কেজি ২৯ গ্রাম সাপের বিষ ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই তিন পাচারকারীর উপর নজর রাখছিল বন দফতর ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো।সোমবার গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি-সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মুরালিগছ এলাকার মহানন্দা সেতুর কাছে অভিযান চালায় বন দফতর। অভিযানে একটি চারচাকা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশের খবরের কাগজে মোড়ানো একটি সাপের বিষভর্তি কাচের জার উদ্ধার হয়। সেইসঙ্গে একটি স্কুটিতেও তল্লাশি চালালে আরেকটি সাপের বিষভর্তি কাচের জার উদ্ধার হয়।এর পরই ওই তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ওই সাপের বিষ এনে তা নেপাল হয়ে চিনে পাচার করা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন বন আধিকারিকরা। ইন্দো-নেপাল সীমান্তে ওই জার দুটি হাতবদলের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। চিনের কালোবাজারে মূলত এইধরনের বন্যপ্রাণ সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে।