জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৯৭৬ সালে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তাঁর সৃষ্টিকে জাতীয় সম্পদ বলে ঘোষণা করে। শহরের এক গ্যালারিতে চলছে তাঁর ছবির প্রদর্শনী। সেই ছবি নিয়েই বিতর্ক। তিনি যামিনী রায়। তাঁর বিতর্কিত প্রদর্শনী নিয়ে এখন সরব হচ্ছেন শিল্পীরা।
দক্ষিণ কলকাতার মিডলটন আর্ট গ্যালারির এই প্রদর্শনী নিয়ে ক্ষুব্ধ শহরের শিল্পী-শিল্পরসিকেরা। ক্ষুব্ধ শিল্পীদের এই তালিকায় রয়েছেন গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ ছত্রপতি দত্ত, শিল্প সমালোচক প্রণবররঞ্জন রায় এবং হিরণ মিত্র, তাপস সরকার, পার্থ রায়ের মতো শিল্পীরা। তাঁরা যামিনী রায়ের এই প্রদর্শনী দেখে হতবাক। কেউ বলছেন ছবির স্বাক্ষরটাই গণ্ডগোলের। কেউ বলছেন, যে ধরনের কাগজের উপর ছবিগুলি আঁকা তেমন কাগজে আঁকতেন না যামিনী রায়। কেউ বলছেন, প্রদর্শনীতে যামিনী রায়ের ছবির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বদলে গিয়েছে। যে ছবিটা আগে দেখা গিয়েছে আকারে বর্গক্ষেত্র, সেটা হয়ে গিয়েছে লম্বাটে!জানা গিয়েছে, ছবি-সংগ্রাহক কৌন্তেয়া সিনহা এবং ঐন্দ্রিলা রায় কাপুর ওই আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত যামিনী রায়ের ছবিগুলি কোনও ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সেই ব্যক্তিগত সংগ্রহ কার, সেই সূত্রসন্ধান করতে-করতে ক্রমে যার কথা জানা যায়, প্রশ্ন ওঠে তিনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন যামিনীচিত্র? তিনি নাকি জানিয়েছেন, তিনি এই সব ছবি কিনেছিলেন যাঁদের কাছ থেকে তাঁরা যামিনী রায়ের ছোট ছেলের কন্যার সূত্রেই ছবিগুলি পেয়েছিলেন! বোঝো! শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে গ্র্যান্ড হোটেলের এক প্রদর্শনী থেকে এই ছবিগুলি কেনা হয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ১৯৯৩ সালে এমন কোনও প্রদর্শনীর হদিস নাকি পাওয়া যায়নি! তা হলে? কোথা থেকে এল এই ভূতুড়ে ছবিগুলি?