• বিষ্ণুপুর ক্যাপিটাল অফ বেঙ্গল, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • সাহিত্য সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে বাঁকুড়ার বন্দনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্যাপিটাল অফ বেঙ্গল বললেন মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরকে। বুধবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় প্রশাসনিক সভায় তাঁর ভাষণে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়েই ছিল লালমাটির জেলা বাঁকুড়ার কথা। মল্লরাজাদের শহর বিষ্ণুপুরের কথা বিশেষ ভাবে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষ্ণুপুর হচ্ছে সংস্কৃতির পীঠস্থান। বিষ্ণুপুরের ঘরানা সুরের ঘরানা। বাংলা যদি ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া হয় তাহলে বিষ্ণুপুর ক্যাপিটাল অফ বেঙ্গল।’এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সারদা মায়ের জন্মস্থান জয়রামবাটীর কথাও। তাঁর মুখে শোনা যায়, এই জেলার গর্ব সঙ্গীতজ্ঞ যদুভট্ট থেকে শুরু করে ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজ, চিত্রশিল্পী যামিনী রায়, সাংবাদিকতার পথিকৃত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। এর পাশাপাশি জেলার বালুচরী, স্বর্ণচরী, ডোকরা, পোড়ামাটির শিল্পকে স্মরণ করান মমতা।বলেন, ‘এ সব কাজ জগৎ বিখ্যাত।’ জেলার ট্যুরিজমের কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। এদিন ফের একবার বাঁকুড়া জেলার মেধার ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভালো। প্রতিবার তারা প্রথম হয়। তাই আমি বাঁকুড়ায় ইউনিভার্সিটি তৈরি করে দিয়েছিলাম।’যোগ করেন, ‘এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় এত ভালো তারা ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড, ফোর্থ হয়। যত ডাক্তার দেখবেন সবার ম্যাক্সিমাম বাড়ি হচ্ছে বীরভূম নয় বাঁকুড়া। বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার, বড় বড় ল’ইয়ার, বড় বড় ডাক্তার, বড় বড় প্রফেসর সব বাঁকুড়া থেকে তৈরি হয়।’অতীতের প্রসঙ্গ টেনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে এই সব জেলাতে অনেক অত্যাচারে রক্ত ঝরত। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তিতে বাস করছেন। তাঁদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে, কলেজে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, মাঠে যাচ্ছে, মানুষের মতো মানুষ তৈরি হচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘আমার জঙ্গলমহল আগে কাঁদত। এখন হাসছে। আমি খুশি। আমার জঙ্গলমহলের মা-বোনেরা হাসছেন, আমি খুশি। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ছে, আমি খুশি। আমার জঙ্গলমহলকে সকলে ভালো রাখবেন।’
  • Link to this news (এই সময়)