মার্চের গোড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সন্দেশখালিতে, তালিকা তৈরি কমিশনের
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভোটের দিন ঘোষণার অনেক আগেই জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে বাহিনীর জওয়ানদের যাতে কোনও ভাবেই বসিয়ে রাখা না হয় সে জন্য তৎপর নির্বাচন কমিশনও। সূত্রের খবর, আগামী ১ মার্চের মধ্যে প্রায় ১০০ কোম্পানি এসে পৌঁছবে এ রাজ্যে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে।আগামী ৭ মার্চের মধ্যে ১৫০ কোম্পানির চলে আসার কথা। এই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যের কোন কোন জায়গায় মোতায়েন করা হবে তার তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে কমিশন। সেই মতো রাজ্যের স্পর্শকাতর এবং উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলিতে জওয়ানদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালি।কমিশন সূত্রের খবর, মার্চ মাসের গোড়া থেকেই সন্দেশখালিতে রুটমার্চ শুরু করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানকার ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সে জন্য হিংসা কবলিত গ্রামগুলিতে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে।কমিশনের তালিকা অনুসারে, শুধুমাত্র উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অধীন পাঁচটি পুলিশ জেলা মিলিয়ে মোট ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। একেকটা কোম্পানিতে গড়ে ৮০ থেকে ১০০ জন জওয়ান থাকেন। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা দু’হাজারের একটু বেশি। এর একটা বড় অংশ মোতায়েন করা হবে বসিরহাট এবং ব্যারাকপুর পুলিশ জেলায়।শুধুমাত্র বসিরহাট পুলিশ জেলার জন্য মোট পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পুলিশ জেলার অধীনেই পড়ে সন্দেশখালি। গত প্রায় দেড় মাস ধরে ওই এলাকায় একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নেতাদের মারধর সহ বিভিন্ন হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সে সব ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে অনেকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে।গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তাই সন্দেশখালির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে কমিশন। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার আর একটি স্পর্শকাতর এলাকা হলো ব্যারাকপুর। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ জেলার জন্য মোট ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে।এছাড়াও কলকাতা পুলিশ জেলার জন্য ১০ কোম্পানি, মালদা পুলিশ জেলার জন্য ৭ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার জন্য ৮ কোম্পানি, পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ জেলার জন্য ৭ কোম্পানি, হুগলি পুলিশ জেলার জন্য ৪ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবার ও বারুইপুর পুলিশ জেলার জন্য ৩ কোম্পানি করে, হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলা এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট মিলিয়ে মোট ৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।