৫৫ দিন পর পুলিশের জালে শেখ শাহজাহান, মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অবশেষে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান। ৫৫ দিন বেপাত্তা থাকার পর শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ল সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতা। গত দেড়মাস ধরে এই একটিই নাম রাজ্য তথা গোটা দেশের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। পুলিশের দাবি, মিনাখাঁ থেকে নিখোঁজ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে। এই মুহূর্তে তাঁকে বসিরহাট আদালতের লক আপে রাখা হয়েছে বলে খবর।তৃণমূলের প্রতিক্রিয়াশেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলের নেতা শান্তনু সেন বলেন, 'শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রমাণ করে আমাদের সরকার রাজধর্ম পালন করে। আমরা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দল। ঠিক একইভাবে এবার গ্রেফতার শেখ শাহজাহান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন কোর্টের স্টে অর্ডারের কারণেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। স্টে অর্ডার সরানোর তিন থেকে চারদিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। একদিকে, BJP শাসিত রাজ্যে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ান অভিযুক্তরা অন্যদিকে, প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত কোনও নেতাকেই রেয়াত করে না প্রশাসন। BJP-র উচিত তৃণমূলের থেকে রাজধর্ম শেখা।'কী বললেন সুকান্ত?রাজ্য BJP-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'রাজ্য BJP-র লাগাতার চাপের জেরে শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হল সরকার। আমি তো আগেই বলেছিলাম, আমরা সরকারকে এই গ্রেফতারি করতে বাধ্য করব। আজ BJP এবং সন্দেশখালির মহিলাদের লাগাতার ধরনা এবং বিক্ষোভের ফলে শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হল।'প্রসঙ্গত, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি, যে গ্রেফতার করা যাবে না।’ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আদালত হাত-পা বেঁধে রেখেছে তাই গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।' রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছিলেন, 'যারা যারা আইন ভেঙেছে, সবাই গ্রেফতার হবে। কাউকে ছাড়া হবে না।' এরপরই ৫৬ দিনের মাথায় পুলিশের জালে ধরা পড়লেন সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'।